Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Hooghly

বাঁধ মেরামত হয়নি হুগলিতেও

জোড়াতালি: দ্বারকেশ্বরের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। গোঘাটে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

জোড়াতালি: দ্বারকেশ্বরের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। গোঘাটে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২০ ০৩:৪৩
Share: Save:

দোরগোড়ায় বর্ষা। কিন্তু লকডাউনের গেরোয় বন্যাপ্রবণ আরামবাগ মহকুমায় তিনটি নদী বাঁধের ভাঙন বা পলকা এলাকায় মেরামতির কাজে হাতই পড়েনি। এই পরিস্থিতিতে জোরাল বর্ষা হলে চারটি নদ-নদী দিয়ে ঘেরা এই মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষ। সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরাও চিন্তিত।

গত মে মাসের গোড়ায় বাঁধ সংস্কারের কাজের ছাড়পত্র মিললেও সার্বিকভাবে বাঁধ সুরক্ষিত করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সেচ দফতরের আধিকারিকরাও সন্দিহান। জেলা সেচ দফতর সূত্রের খবর, নদী বাঁধগুলির বিপুল সংখ্যাক দুর্বল জায়গায় চিহ্নিত হয়েছে। আমপানের পরে তা আরও বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গুরুত্বপূর্ণ ভাঙনগুলি সংস্কারের কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

আরামবাগ মহকুমার ৬টি ব্লক মিলিয়ে পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৬৩টি। প্রশাসন সূত্রের খবর, তার মধ্যে ৫৩টি পঞ্চায়েতই বন্যা কবলিত বলে চিহ্নিত। বর্তমানে এখানে তিনটি নদ-নদীর (দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী এবং দ্বারকেশ্বর) বাঁধের প্রায় ৬০টি জায়গায় ভাঙন রয়েছে। দীর্ঘ এলাকায় বাঁধের অংশ পলকা। দামোদর এবং মুণ্ডেশ্বরীর তদারকির দায়িত্বে রয়েছে চাঁপাডাঙা মুণ্ডেশ্বরী সেচ দফতর। তাদের সহকারী বাস্তুকার বোনকেশ ওঝা বলেন, ‘‘বাঁধের বেশ কিছু খারাপ জায়গা আছে। গুরুত্বপূর্ণ ৪২টি কাজের দরপত্র ডাকা হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কাজ হবে।’’ দ্বারকেশ্বর এবং রূপনারায়ণের তদারকির দায়িত্বে থাকা আরামবাগ মহকুমা সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার শ্রীকান্ত পাল জানিয়েছেন, ২২টি কাজের টেন্ডার ডাকা হয়েছে। জুন মাসের মধ্যে যতটা সম্ভব কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

সেচ দফতর সূত্রের খবর, মার্চ থেকেই বন্যা সুরক্ষা সংক্রান্ত পরিকল্পনা এবং কাজ শুরু হয়। বিভিন্ন ব্লক এবং মহকুমা স্তরের বৈঠকে সেইসব পরিকল্পনা উঠে আসে। কিন্তু এ বার লকডাউনের জেরে পরিস্থিতি ভিন্ন। সেই কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কোনও পরিকল্পনাই কার্যত করা যায়নি। আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাঁধ বরাবর নির্দিষ্ট দূরত্বে যে বালির বস্তা মজুত রাখা হয়, তাও হয়নি।

দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী এবং দ্বারকেশ্বরের বাঁধ ভেঙে বা উপচে আরামবাগে বন্যা হয়। মহকুমার দক্ষিণে রূপনারায়ণ নদে গিয়ে সেই জল মেশে। সেই কারণে এই নদের বাঁধ না ভাঙলেও জল উপচে খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতি জটিল করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hooghly Dam Irrigation Department Monsoon
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE