কাটারির কোপে উলুবেড়িয়ার বৃদ্ধা উমা পাঁজাকে খুনের ঘটনায় তাঁর পুত্রবধূ অনিতা এবং ছোট নাতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত অনিতা খুনের কথা কবুল করে জানিয়েছে, শাশুড়ি তুকতাক করতেন। এ নিয়ে অশান্তি হতো। বৃহস্পতিবার সকালে বচসার সময়ে তিনি হাতের কাছে থাকা কাটারি তুলে শাশুড়িরে কোপ মারেন। সাহায্য করে ছোট ছেলে।
বৃহস্পতিবার সকালে উলুবেড়িয়ার খলিসানির রামনগরের পাঁজাপাড়ার বাসিন্দা উমাদেবীর রক্তাক্ত মৃতদেহ তাঁর বাড়ির বারান্দা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় কাটারিটি। সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনিতা এবং তার দুই ছেলেকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের পরে অনিতার বড় ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। উমাদেবীর ভাইয়ের অভিযোগর ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অনিতা ও বছর তেরোর ছোট ছেলেকে গ্রেফতার করা হয় ওই রাতেই। শুক্রবার অনিতাকে উলুবেড়িয়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ছেলেটি নাবালক হওয়ায় তাকে হাওড়ার জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয়।
অনিতার স্বামী অনিল বলেন, ‘‘মা খাবারে কিছু মিশিয়ে দিতে পারেন, অনেক দিন ধরেই অনিতা এমন সন্দেহ করত। মায়ের সঙ্গে স্ত্রীর অশান্তি হতো। কিন্তু তার জন্য স্ত্রী যে মাকে মেরে ফেলবে, ভাবিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy