Advertisement
E-Paper

হোগলা বনে তরুণীর মৃতদেহ, সন্দেহ খুন

এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হল বাড়ির অদূরে হোগলা গাছের জঙ্গল থেকে। তাঁর মাথার পিছনে আঘাত ছিল। নাক-মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ডানকুনির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্য সেন নগর এলাকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৫ ০০:২৯

এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হল বাড়ির অদূরে হোগলা গাছের জঙ্গল থেকে। তাঁর মাথার পিছনে আঘাত ছিল। নাক-মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ডানকুনির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্য সেন নগর এলাকার। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুস্মিতা ওরফে তানিয়া রায় (১৮)। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

এসডিপিও (শ্রীরামপুর) সুবিমল পাল বলেন, ‘‘ঠিক কী কারণে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে।’’

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনিতে রেলের কারখানার কাছে মা মঙ্গলাদেবী এবং দিদিমার সঙ্গে থাকতেন ওই তরুণী। গত বছর দ্বাদশ শ্রেণিতে তিনি পড়া ছেড়ে দেন। কলকাতায় একটি কল সেন্টারে কাজ করতেন। কয়েক মাস আগে তাও ছেড়ে দেন। মঙ্গলাদেবী আয়ার কাজ করেন। দিন কয়েক আগে তিনি এক রোগীকে নিয়ে ভেলোরের একটি হাসপাতালে যান। দিদিমা ডানলপে সব্জি বিক্রি করেন। অন্য দিনের মতো রবিবার বিকেলে তিনি সব্জি বিক্রি করতে বেরিয়ে যান। ফলে, তানিয়া বা়ড়িতে একাই ছিলেন।

রাত ১১টা নাগাদ ফিরে দিদিমা দেখেন, বাড়ি অন্ধকার। আলো জ্বেলে দেখেন, তানিয়া এবং তার মায়ের ঘরটি খোলা। জিনিসপত্র এলোমেলো। তানিয়া নেই। খোঁজ করতে গিয়ে বাড়ির কাছে হোগলা বনে তানিআর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাশে একটি বোতল পড়েছিল। খবর পেয়ে ডানকুনি থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। বোতলটিও নিয়ে যায়। সোমবার শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে দেহের ময়না-তদন্ত হয়।

নিহতের মাসতুতো দাদা বাপ্পা রায় বলেন, ‘‘বোনের মাথার পিছনে ঘাড়ের উপরে ক্ষত ছিল। নাক-মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। আমাদের ধারণা, পরিচিত কেউ বোনকে খুন করেছে। বোন যে বাড়িতে একা তা জেনেই এসেছিল। পুলিশ অবিলম্বে দোষীকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।’’ তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা মনে করছেন, বিষাক্ত কিছু খেয়ে তানিয়ার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কেউ জোর করে তাঁকে কিছু খাইয়েছিল কি না, মাথার পিছনে আঘাত কী ভাবে এল, সবই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

dankuni dankuni sedge dead body dankuni sedge forest dankuni murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy