অতিরিক্ত আর্দ্রতা, ঘর্ষণ বা যেমন-তেমন করে রাখার কারণে লেবু পচে যেতে পারে অথবা তার রস শুকিয়ে যেতে পারে। পচে গেলে নরম ও কালো হয়ে যেতে পারে, আর শুকিয়ে গেলে ওজন কমে কুঁচকে যেতে পারে। লেবুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আর্দ্রতাও যেমন ক্ষতিকর, আবার আর্দ্রতা হারিয়ে ফেললেও সমস্যা। এ দিকে লেবু এমনই এক উপাদান, যা রোজের প্রয়োজন। কিন্তু প্রতি দিন বাজারে যাওয়া সম্ভব হয় না ব্যস্ত জীবনে। সে ক্ষেত্রে লেবুকে সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা দরকার।
গোটা লেবু যে ভাবে সংরক্ষণ করা উচিত, কাটা লেবু সে ভাবে রাখলে হবে না। আবার লেবুর রস বার করে সংরক্ষণ করার পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। জেনে নিন, কোন অবস্থায় কী ভাবে রাখবেন?
লেবুকে ঠিক ভাবে সংরক্ষণ করবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
গোটা লেবু
· লেবু কেনার পর পরই যদি ব্যবহার না করেন, তা হলে ফ্রিজে রাখাই ভাল। একটি বায়ুনিরোধী ব্যাগে বা পাত্রে তুলে রাখুন, যাতে দ্রুত আর্দ্রতা না হারাতে পারে। তা হলে ২-৩ সপ্তাহ টাটকা এবং রসালো থাকবে লেবু। মাথায় রাখবেন, ব্যবহার করার আগে একেবারেই জলে ধোবেন না। নয়তো অতিরিক্ত আর্দ্রতায় লেবুতে পচন ধরবে চটজলদি।
· লেবুর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আর্দ্রতা বজায় রাখা দরকার। আর তাই এক বাটি জলে লেবুগুলি ডুবিয়ে ফ্রিজে তুলে রাখতে পারেন। এতে মাসখানেক টাটকা থাকবে লেবু।
কাটা লেবু
· লেবু কেটে খানিকটা ব্যবহার করে বাকিটা সংরক্ষণ করতে চান দীর্ঘ দিন? তা হলে একটি জ়িপলক ব্যাগ অর্থাৎ বায়ুনিরোধী থলেতে পুরে ফ্রিজ়ারে রেখে দিতে পারেন। হিমায়নের ফলে তা অনেক দিন পচন থেকে মুক্ত থাকবে।
লেবুর রস
· অনেক সময়ে লেবু থেকে রস বার করে একটি পাত্রে ফ্রিজ়ারে জমিয়ে নিলে মেয়াদ অনেকখানি বেড়ে যায়।
· লেবুর রস বার করে বরফ জমানোর ট্রেতে জমিয়ে নিতে পারেন। জমে গেলে কিউবগুলি বার করে একটি জ়িপলক ব্যাগে ভরে ফ্রিজ়ারে রাখুন। পরে রান্নায় বা শরবতে ব্যবহার করতে পারেন সেগুলি।