Advertisement
E-Paper

পুকুরে যুবকের দেহ, পুলিশের সন্দেহ খুন

তিন দিন ধরে নিখোঁজ চন্দননগরের এক যুবকের দেহ মিলল ভদ্রেশ্বরের একটি পুকুর থেকে। গলায় জামার ফাঁস লাগানো অবস্থায়। শুক্রবার সকালের ঘটনা। পুলিশের অনুমান, প্রসেনজিৎ মিত্র (২৭) নামে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৬ ০১:৫৩
শোকাহত পরিবার। ইনসেটে, মৃত প্রসেনজিৎ মিত্র।

শোকাহত পরিবার। ইনসেটে, মৃত প্রসেনজিৎ মিত্র।

তিন দিন ধরে নিখোঁজ চন্দননগরের এক যুবকের দেহ মিলল ভদ্রেশ্বরের একটি পুকুর থেকে। গলায় জামার ফাঁস লাগানো অবস্থায়। শুক্রবার সকালের ঘটনা। পুলিশের অনুমান, প্রসেনজিৎ মিত্র (২৭) নামে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দননগরের বোরো চাঁপাতলার বাসিন্দা ছিলেন প্রসেনজিৎ। চন্দননগরেরই বক্সিগলিতে একটি তারের জাল তৈরির কারখানায় প্রায় ১১ বছর ধরে কাজ করছিলেন। গত বুধবার সকালে তিনি কারখানায় যান। কাজ শেষে রাত ৮টা নাগাদ সাইকেলে বাড়ি ফেরার জন্য বের হন। কিন্তু ফেরেননি। রাত বাড়তে থাকায় পরিবারের সদস্যেরা খোঁজখবর শুরু করেন। কিন্তু কোথাও খোঁজ না পেয়ে চন্দননগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তার পর শুক্রবার সকালে ভদ্রেশ্বরের ব্যাজরা নতুনপাড়ার ওই পুকুর থেকে দেহটি মেলে। তাঁর পরনের জামা পেঁচিয়েই গলায় ফাঁস দেওয়া হয়েছিল। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিবারের সদস্যেরা গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন। এই নিয়ে গত কয়েক মাসে হুগলিতে তিন জন খুন হলেন। গত ২৮ মে ভদ্রেশ্বরেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে এক যুবক নিহত হন। গত মঙ্গলবার পান্ডুয়ায় খুন হন এক জন।

পুলিশ জানায়, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, বাড়ি তৈরি নিয়ে গোলমালের জেরে খুন হয়ে থাকতে পারেন ওই যুবক।

বাড়িতে প্রসেনজিতের মা, স্ত্রী ও ভাই রয়েছেন। তবে, খুনের কারণ নিয়ে তাঁরা অন্ধকারে। আগে তাঁরা টালির চালের বাড়িতে বসবাস করলেও সম্প্রতি পাকা বাড়ি তৈরির কাজে হাত দেন। প্রসেনজিতের স্ত্রী টুম্পা বলেন, ‘‘উনি মাঝেমধ্যে বলতেন বাড়ি করতে গিয়ে সব টাকা খরচ হয়ে গেল।’’ মা তারারানিদেবী বলেন, ‘‘ওঁর কোনও শত্রু ছিল বলে আমাদের জানা নেই। যাঁরা এ ভাবে খুন করল, তাঁদের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।’’ একই কথা জানিয়েছেন তাঁর কারখানার সহকর্মী এবং পাড়ার বাসিন্দারা।

deade body police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy