Advertisement
E-Paper

মাধ্যমিকের মুখে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত

থানা থেকে মহকুমা প্রশাসন, আরটিও থেকে জেলাশাসক, নেতা-মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী— সব জায়গাতেই দরবার করেছেন বাস মালিকেরা। কিন্তু পরিবহণে শৃঙ্খলা ফেরেনি বলে অভিযোগ তাঁদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০০

থানা থেকে মহকুমা প্রশাসন, আরটিও থেকে জেলাশাসক, নেতা-মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী— সব জায়গাতেই দরবার করেছেন বাস মালিকেরা। কিন্তু পরিবহণে শৃঙ্খলা ফেরেনি বলে অভিযোগ তাঁদের। ‘লোকসানের’ বহর ঠেকাতে এ বার ধর্মঘটের পথে চলতে চাইছেন শ্রীরামপুর-জাঙ্গিপাড়া ৩১ নম্বর রুটের বাসমালিকেরা। কাল, সোমবার থেকে লাগাতার ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। অথচ এক দিন পরেই মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাস বন্ধ থাকলে ভোগান্তির আশঙ্কা থাকছে।

শ্রীরামপুর থেকে জাঙ্গিপাড়া পর্য‌ন্ত ওই রুটে ২২টি বাস চলে। মালিকদের অভিযোগ, গত কয়েক বছরে রুট জুড়ে বেআইনি ভাবে চলা গাড়ির দাপটে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শ্রীরামপুর থেকে তালতলা হাট পর্যন্ত প্রচুর ট্রেকার চলে। তাতে ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়। কিছু যায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে টোটো, অটো। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, লোকসান সামাল দিতে অনেকেই বাস বসিয়ে রাখছেন। কাজ হারাচ্ছেন বাসকর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে রুটের বাস মালিকেরা বিভিন্ন সময়ে পুলিশ-প্রশাসন বা পরিবহণ দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন। আন্দোলনও হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছিল বাসও। কিন্তু কোনও কিছুতেই পরিস্থিতির বদল হয়নি বলে দাবি বাস মালিকদের। তাঁদের ক্ষোভ, যখনই তাঁরা আন্দোলন তখন কিছু দিন প্রশাসন বেআইনি গাড়ি ধরপাকড় শুরু করে। জরিমানা করা হয়। কিন্তু তার পরে পরিস্থিতি যে কে সেই হয়ে যায়। মাস কয়েক আগে পরিবহণমন্ত্রীর আশ্বাসে কাজ না হওয়ায় জেলা বাস মালিকেরা খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান‌। এক বাস মালিকের কথায়, ‘‘ভেবেছিলাম মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কোথায়?’’

ওই রুটের বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক প্রণব রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ধর্মঘট ছাড়া আমাদের সামনে অন্য কোনও রাস্তা খোলা নেই।’’ ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত বাসের নোটিসের আকারে বাসে সেঁটে দেওয়া হয়েছে। বাস মালিকেরা জানান, এ ভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে হয় তো জে‌লার আরও কয়েকটি রুটের মতো এই রুটেও বাস চলাচল চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। গত কয়েক বছরে ৫, ৬, ৭, ১২এ, ১৯, ৩৪ নম্বর রুটের বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ১, ৩, ৪-সহ বিভিন্ন রুটে যাত্রী সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে।

মহকুমাশাসক (শ্রীরামপুর) রজত নন্দ, জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের অধিকর্তা শুভেন্দুশেখর দাসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। দু’জনের কেউই ফোন ধরেননি।

মেলা থেকে ধৃত ৩। গ্রামীণ মেলায় মদের আসরে হানা দিয়ে তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মিলন রায়, দীনবন্ধু সাঁতরা এবং তুফান সাঁতরা। তারা মেলার মধ্যে মদ্যপ অবস্থায় অশালীন আচরণ করছিল। ধৃতদের মধ্যে প্রথম জনের বাড়ি বর্ধমানের খন্ডঘোষ এলাকায়। বাকি দু’জন আরামবাগের নৈসরাই গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের শনিবার আরামবাগ আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

Madhyamik Examination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy