খানাকুলের রামপ্রসাদে রাস্তার এমনই হাল। —নিজস্ব চিত্র।
শুধু স্থানীয় মানুষ নয়, একাধিক বার সংস্কারের দাবি তুলেছেন বাসচালক থেকে মালিকেরাও। তবু দু’বছর ধরে সারানোর নামগন্ধ নেই আরামবাগ থেকে বন্দর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিমি রাস্তার।
পূর্ত দফতরের ওই রাস্তার গৌরহাটি পর্যন্ত অবস্থা কিছুটা ভাল থাকলেও তারপর বন্দর পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তার হাল শোচনীয়। ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করে। বাসমালিক সংগঠনের সম্পাদক অনন্ত ভট্টাচার্যর অভিযোগ, “দু’বছর ধরে পূর্ত দফতর খালি জোড়াতালি দিয়ে কাজ সারছে। অথচ ওই রাস্তায় প্রচুর গাড়ি চলে। ফলে মাসখানেকের মধ্যেই ফের ভেঙে যাচ্ছে। দু’বছর ধরে রাস্তাটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের কথা থাকলেও কেন তা হচ্ছে না সে ব্যাপারে প্রশাসন নির্বিকার।’’
আরামবাগ থেকে বন্দর রাস্তাটি মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির অন্যতম। খানাকুল-২ ব্লকের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার মানুষও রূপনারায়ণ নদী পেরিয়ে খুব কম সময়ে আরামবাগ পৌঁছতে পারেন। রাস্তাটিতে দূরপাল্লা, স্থানীয় এবং মিনিবাস মিলিয়ে খান পঞ্চাশ গাড়ি চলে। এ ছাড়া লরি-সহ ভারী যানবাহন তো রয়েইছে। গৌরহাটি বাজারের পর থেকেই বাকি প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তা বন্যাপ্লাবিত এলাকায়।
গত দু’বছর ধরে কেন রাস্তা সংস্কার হচ্ছে না?
আরামবাগ মহকুমা পূর্ত দফতরের (রাস্তা) সহকারি বাস্তুকার জ্যোতিপ্রকাশ ধর বলেন, “রাজ্য সড়ক উন্নয়ন নিগমের অধীন প্রকল্পে উত্তর-দক্ষিণ করিডর নির্মাণে যে নকশা ছিল তাতে ওই রাস্তা ব্যবহার করার কথা ছিল। তাই অযথা খরচ করে আমরা রাস্তাটি সংস্কার করিনি। সম্প্রতি সরেজমিন তদন্ত করে রাজ্য সড়ক উন্নয়ন নিগম জানিয়েছে তারা অন্য রাস্তা করবে। তাই এ বার রাস্তাটি সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামনের মাসেই কাজ শুরু হবে।’’
প্রসঙ্গত, উত্তর-দক্ষিণ করিডরের ওই রাস্তা মুর্শিদাবাদের মোরগ্রাম থেকে বাদশাহি রোড ধরে বর্ধমান হয়ে আরামবাগে পৌঁছবে। সেখান থেকে ঘাটাল হয়ে যাবে হলদিয়া। হলদিয়া থেকে ওড়িশা হয়ে পারাদ্বীপ পৌঁছবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy