রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি চলছে। তার উপরে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ডিভিসি জল ছাড়তে শুরু করেছে। এই জোড়া ফলায় ফের জলমগ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদয়নারায়ণপুর ও আমতা ২ ব্লকের মানুষজন। হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মোট ৫৫ হাজার কিউসেক পর্যন্ত জল ছাড়া হবে বলে ডিভিসি জানিয়েছে।
প্রশাসনের দাবি, গত দু’বছর ধরে দামোদরের বাঁধ মেরামতির কাজ হয়েছে। এই নদের সঙ্গে যুক্ত নিকাশি খাল (যেমন রামপুর, মজা দামোদর প্রভৃতি) সংস্কার হয়েছে। তাই, অন্তত ৮০ হাজার কিউসেক পর্যন্ত জল না ছাড়লে তা থেকে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা কম। সেচ দফতরের হাওড়া ডিভিশনের এক পদস্থ কর্তা জানান, বাঁধের উপরে নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোথাও ফাঁক-ফোকর থাকলে তা মেরামত করে দেওয়া হচ্ছে। ডিভিসি যদি বেশি জল ছাড়ে তখন হয়তো নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরাতে হতে পারে। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা।
এখনই আতঙ্কিত হওয়ার না হওয়ার কথা বললেও আগাম সতর্কতা নিয়েছে ব্লক প্রশাসন। আমতা ২ ব্লকের কুশবেড়িয়া, অমরাগড়ি, ঘোড়াবেড়িয়া-চিতনান, ভাটোরা এবং কাশমলি এই পাঁচটি পঞ্চায়েতকে বিশেষ করে সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমতা ২ ব্লকে দু’টি স্পিড বোট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ৮ জন জওয়ান। এ ছাড়া ত্রিপল, শুকনো খাবার মজুত করা প্রভৃতির প্রস্তুতিও সারা হয়েছে। গত বছর অগস্ট মাসের প্রথমেই বন্যার কবলে পড়েছিল আমতা ১, আমতা ২ এবং উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যার তীব্রতা এতটাই ছিল যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ছুটে আসেন আমতায় ত্রাণ ব্যবস্থার তদারকি করতে। গত বছরের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই এ বার আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy