জমি সংক্রান্ত যাবতীয় সরকারি কাজে গতি আনতে হুগলি জেলার ১০টি ব্লকে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছে ‘ই-ভূচিত্র’ প্রকল্পের কাজ। এর মাধ্যমে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সঙ্গে অনলাইনে সংযুক্ত হবে মহকুমা, জেলা, রাজ্য দফতর। এর ফলে, জমি কেনাবেচা থেকে শুরু করে চরিত্র পরিবর্তন সব কাজেই স্বচ্ছতা বজায় থাকবে বলেও জেলা প্রশাসনের দাবি।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ‘ন্যাশনাল ল্যান্ড রেকর্ডস মডার্নাইজেশন স্কিম’-প্রকল্পের অধীনে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ওয়াইড এরিয়া’ প্রকল্পের আওতায় হুগলির ১৮টি ব্লকের মধ্যে আরামবাগ, খানাকুল-১ ও ২, গোঘাট-২, পোলবা-দাদপুর, সিঙ্গুর, জাঙ্গিপাড়া, ধনেখালি, পাণ্ডুয়া এবং বলাগড়ে ওই কাজ শুরু হয় গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। জমি রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে যাতে মিউটেশনের কাজও হয়ে যায়, সে জন্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রি দফতরের সঙ্গে সমন্বয়ও ঘটানো হচ্ছে প্রকল্পে। একটি বেসরকারি সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে খানাকুল-১ ব্লকে সেই কাজ শেষও হয়ে গিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১০টি ব্লকে সেই কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে বাকি ৮টি ব্লকে তা শুরু করা হবে। তবে, যে সব ব্লকে ওই কাজ চলছে, সেখানকার বহু সাধারণ মানুষের অভিযোগ, কাজ ঢিমেতালে চলায় তাঁরা জমির তথ্য যাচাই, পরচা, রেজিস্ট্রি-সহ গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলি পাচ্ছেন না। এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) আয়েশা রানি। তিনি বলেন, “প্রকল্প শুরুতে সমস্যা হচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রভূত সুফল পাওয়া যাবে। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সঙ্গে অনলাইনে মহকুমা, জেলা, রাজ্য সদর দফতরের সমন্বয় ঘটানোর এই কাজ সম্পন্ন করতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy