সমবেত: প্রশাসনিক আধিকারিকের দ্বারস্থ। নিজস্ব চিত্র
ডিজের দাপটে জেরবার এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার হুগলির জাঙ্গিপাড়া ব্লকের রাজবলহাটে এ নিয়ে পথে নামলেন সাধারণ মানুষ। ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানে মাইক বা ডিজের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধের দাবিতে পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। দেওয়া হল স্মারকলিপি। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তারস্বরে মাইক বাজানো হয়। গানের অনুষ্ঠান থেকে চড়ুইভাতি— সব জায়গাতেই ডিজে বাজানো রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, ডিজে বাজানো নিয়ে নিষেধাজ্ঞা বা নির্দিষ্ট সময়ের পরে মাইক না বাজানোর যে বিধিনিষেধ আছে, তার তোয়াক্কা করা হয় না। গভীর রাত পর্যন্ত উৎসব-অনুষ্ঠানের নামে শব্দের তাণ্ডব চলে। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের সমস্যায় পড়তে হয়। পুলিশ-প্রশাসনও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না বললেই চলে।
রাজবলহাট ১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকার প্রবীণ এবং সাধারণ নাগরিকদের তরফে জাঙ্গিপাড়া বিডিও দফতর, থানা, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। জনা পঞ্চাশ গ্রামবাসী তাতে সামিল হন। দলে ছিলেন রাজবলহাট ভড়পাড়ার বাসিন্দা একাশি বছরের দীপকচন্দ্র ভড়। হৃদরোগী এই বৃদ্ধের বুকে পেসমেকার বসানো। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বছরভর ডিজের আওয়াজ সহ্য করতে হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা আমাদের কথা ভাবে না। পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।’’ রাজবলহাট কলোনির বাসিন্দা, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী চয়ন ভড়ের বক্তব্য, ‘‘ধর্মীয় অনুষ্ঠান হোক বা বিয়েবাড়ি— মাইক আর ডিজের দাপট চলতেই থাকে। মাধ্যমিকের প্রস্তুতিতে অসুবিধা হয়েছিল। এখনও হচ্ছে।’’ কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক চিকিৎসক প্রভাস দাস বলেন, ‘‘মাইক আর ডিজের দৌরাত্ম্য সামাজিক ব্যাধি। প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে এক শ্রেণির লোক এই সব করেন। অধিকাংশ মানুষ চান, তাণ্ডব বন্ধ হোক।’’ বিডিও (জাঙ্গিপাড়া) সীতাংশুশেখর শীট বলেন, ‘‘প্রবীণরা স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আগামী সোমবার বিভিন্ন ক্লাব, পুলিশ, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত স্তরের লোকজনকে নিয়ে বৈঠক করা হবে।’’ স্মারকলিপির প্রতিলিপি মহকুমাশাসক (শ্রীরামপুর) এবং জেলাশাসকের কাছেও পাঠানো হচ্ছে বলে বিডিও ডানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy