ধৃত গোলাম কাদের মণ্ডল ও সুরজ মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
এক জন রাজমিস্ত্রী। অন্য জন জোগাড়ে। সম্পর্কে বাবা-ছেলে। সেই কাজের আড়ালেই কখনও ডাকাতি, কখনও সুপারি নিয়ে খুন করতে সিদ্ধহস্ত তারা। প্রৌঢ় বাবা আর তার যুবক ছেলেকে গ্রেফতারের পরে এমনই দাবি হুগলি জেলা পুলিশের।
সোমবার রাতে পান্ডুয়া থানার পুলিশ বর্ধমান থেকে বাবা গোলাম কাদের মণ্ডল ও ছেলে সুরজ মণ্ডলকে ধরে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা অপরাধের কথা কবুল করেছে। কাদের জানিয়েছে, কোমরের ব্যাথার চিকিৎসার খরচ জোগাড়ের জন্যই ওই পথ বেছে নেয় সে। এর আগেও গোলামের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় সমাজবিরোধীমূলক কাজের অভিযোগ ছিল। কয়েক বছর আগেও সে গ্রেফতারও হয়েছিল।
গত কয়েক মাস ধরে পান্ডুয়ায় বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে। এর জেরে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমালোচনার মুখে পড়ে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় পান্ডুয়ার দাবড়া গ্রামে আরাফিল হোসেন নামে এক ঠিকাদারের গাড়ি আটকে চালক নবান বাউল দাসকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তার পরে আরাফিলকে মারধর করে গাড়িতে থাকা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালায়। চলতি মাসের ৭ তারিখে পোটবা গ্রামে এক সোনা ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে বোমা ফাটিয়ে কয়েক হাজার টাকা লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের দাবি, দু’টি ঘটনাই ঘটিয়েছে গোলাম ও সুরজ।
তদন্তকারী এক অফিসার জানান, গত বছর নভেম্বর মাসে গুড়াপের ভাস্তারায় একটি হিমঘরের ম্যানেজারকে বেঁধে রেখে লক্ষাধিক টাকা ডাকাতির পাণ্ডাও এই দু’জন। পুলিশের দাবি, দাবড়ায় গাড়িচালককে ‘সুপারি’ নিয়ে তারা খুন করেছিল বলে ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আরও কোনও ঘটনার সঙ্গে তাদের যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কিছু দিন ধরেই গোলাম এবং তার ছেলেকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে সোমবার রাতে বর্ধমানের আটাগড় গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। ধরা পড়ে গোলাম ও সুরজ। পুলিশ জানায়, বাবা-ছেলে আগে পান্ডুয়ার দাবড়া গ্রামে ভাড়া থাকত। বছর সাতেক আগে অন্যত্র চলে যায়। বছর দেড়েক ধরে আটাগড়ে বাড়ি তৈরি করে থাকছিল। পুলিশের দাবি, গোলাম বোমাও বাঁধতে পারে। কোথাও ‘অপারেশনের’ জন্য নিজের তৈরি বোমা নিয়ে যেত তারা।
ব্যবসায়ীকে মারধর, ধৃত ৩। পাঁউরুটি লুঠের প্রতিবাদ করায় এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় গোঘাটের কুমুড়শার ঘটনা। পুলিশ জানায় ধৃতদের নাম অভিজিৎ বাগ, জীবন দলুই এবং কার্তিক দলুই। আব্দুল গফুর নামে এক পাউরুটি ব্যবসায়ী ব্যবসা সেরে বাড়ি ফেরার পথে ওই তিন যুবক তাঁর পথ আটকে সাইকেলে রাখা বাক্স থেকে পাঁউরুটি লুঠ করার চেষ্টা করলে গফুর বাধা দেন। তখন তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy