লুঠের মালপত্র নিয়ে উধাও হওয়া ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! কিন্তু মোক্ষম সময়ে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলল পুলিশ। তাতেই ভেস্তে গেল সব। দু’জন পালাতে পারলেও বমাল ধরা পড়ে গেল চার ডাকাত। সোমবার, নববর্ষের রাতে ঘটনাস্থল শ্রীরামপুরের সিমলা।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম ইয়াসউদ্দিন মল্লিক ওরফে কালো, জাহাঙ্গির ঘরামি, মহম্মদ ফিরোজ এবং মহম্মদ মুসা। প্রত্যেকেরই বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের কোঠায়। কালোর বাড়ি ক্যানিংয়ের তালদিতে। জাহাঙ্গির সন্দেশখালির বাসিন্দা। ফিরোজ থাকে বারুইপুরের চম্পাহাটিতে। মুসা কলকাতার নারকেলডাঙার বাসিন্দা।
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির তরফে গোটা বিষয়টি জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তদন্তকারী অফিসাররা জানান, জেলে ধৃতদের টিআই প্যারেড করানো হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ একটি ছোট ট্রাক নিয়ে ৬ দুষ্কৃতী সিমলায় দিল্লি রোডের ধারে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির পাওয়ার হাউজে ঢোকে। অভিযোগ, অস্ত্র দেখিয়ে তারা সেখানকার দুই নিরাপত্তারক্ষীকে একটি ঘরে আটকে রাখেন। এরপর তারা কারখানার অনেক লোহার যন্ত্রাংশ গাড়িতে তোলে। পাওয়ার হাউজের অন্য এক নিরাপত্তারক্ষী কোনও কারণে আশপাশে গিয়েছিলেন। তিনি লুঠপাটের বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে ফোন করেন।
এর পরেই শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। চন্দননগর কমিশনারেট সূত্রের দাবি, গাড়িতে লুঠের মাল তুলে নিয়ে দুষ্কৃতীরা তখন দিল্লি রোডে পৌঁছে গিয়েছে। পুলিশ তাড়া করে গাড়িটির পথ আটকায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। বাকিরা ধরা পড়ে যায়। তদন্তকারী অফিসাররা জানান, প্রচুর পরিমাণে লোহার সরঞ্জাম ছিল গাড়িটিেত। ধৃতদের কাছ থেকে ছুরি, ভোজালি, লোহার রড উদ্ধার হয়।
কমিশনারেের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুলিশের গাড়ি মিনিট দুয়েক পরে পৌঁছলেই দুষ্কৃতীরা দিল্লি রোডে উঠে পগার পার হয়ে যেতে পারত।’’ তিনি জানান, ওই দুষ্কৃতীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কোনও কাজের সূত্রে এসে দুষ্কৃতীদের কেউ জায়গাটিকে ‘রেইকি’ করে গিয়েছিল বলে পুলিশ মনে করছে।