ধৃত ডাকাতদল। ছবি: তাপস ঘোষ।
চুঁচুড়ার হুগলি মোড়ে এক লজ থেকে আট ডাকাতকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু মালপত্র। শুক্রবার দুপুরের ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫শে ডিসেম্বর ১০ জন যুবক নিজেদের ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়ে ওই লজের তিনতলায় দু’টি ঘর ভাড়া নেয়। লজের মালিককে তারা জানিয়েছিল সাতদিন তারা সেখানে থাকবে। লজ কর্তৃপক্ষ ওই যুবকদের পরিচয় পত্র নিয়ে তাদের সেখানে থাকতে দেয়।
লজের মালিক দিলীপ পাল বলেন, ‘‘২৫ ডিসেম্বর ১০ জন লজের তিন তলায় প্রতিদিন সাড়ে তিনশ টাকা করে ৭০০ টাকার বিনিময়ে দু’টি ঘর ভাড়া নেয়। জানিয়েছিলেন জুতো ও কাপড়ের ব্যবসা করে। ৫ থেকে ৭ দিন থাকবে। সেইমত তাদের পরিচয়পত্র জমা নিয়ে ভাড়া দিই। কিন্তু ওরা যে ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত তা বুঝতে পারিনি।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হাওড়া থেকে পানাগড় পর্যন্ত বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেনে ডাকাতি করত। দিন কয়েক আগে দলটি বালি স্টেশনে একটি ট্রেনে ডাকাতি চালিয়ে কয়েক বস্তা নতুন দামী জুতো, শাড়ি-সহ বেশ কিছু জিনিস নিয়ে চম্পট দেয়। রেলপুলিশ ডাকাতির অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে। মোবাইলের সূত্র ধরে খবর পেয়ে এ দিন রেল পুলিশ হুগলি মোড়ের কাছে জিটি রোডের ধারে ওই লজে হানা দেয়। পুলিশি হানার আঁচ পেয়ে ডাকাত দলটি লজের চারতলার ছাদে লুকিয়ে পড়ে। পরে রেল পুলিশ জেলা পুলিশের সাহায্যে লজ থেকে তিন জনকে হাতেনাতে ধরে। বাকিরা ছাদ থেকে নীচে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পিছনে ধাওয়া করে পুলিশ। শেষ পর্যম্ত রবীন্দ্রনগর এলাকার কালিতলা থেকে পাঁচজনকে ধরে ফেলে তারা। যদিও দলের মূল পাণ্ডা সিউড়ির বাসিন্দা বাদল খান পালিয়ে যায়। পুলিশ লজে ফিরে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ বস্তা নতুন জুতো, শাড়ি, এক বস্তা নতুন বছরের ডায়েরি, দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত কয়েকটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে। ওয়াগনে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও উদ্ধার করে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ধৃতেরা বিহার, মুর্শিদাবাদ ও সিউড়ির বাসিন্দা। তারা যেহেতু রেল ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত তাই রেল পুলিশ তদন্ত করবে।’’
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ধৃতেরা যখন যে এলাকায় ট্রেনে ডাকাতি করত সেই এলাকাতেই কিছুদিন থেকে ডাকাতির মালপত্র বিক্রি করে পালিয়ে যেত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy