বেহাল: আবর্জনায় ভরেছে গড়। নিজস্ব চিত্র
কোথাও বড় বড় আগাছা মাথা তুলেছে। কোথাও আবর্জনার পাহাড়।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল শহর চন্দননগরের অন্যতম প্রধান নিকাশি ব্যবস্থা ‘গড়’-এর।
শহরের উত্তরে হরিদ্রাডাঙা থেকে দক্ষিণ-পূর্বে দিনেমারডাঙা পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকা ঘিরে রয়েছে এই ‘গড়’। পুরসভা বছরর কয়েক আগে কিছুটা (পুরশ্রী থেকে মানকুণ্ডু নতুনপাড়া পুল) সংস্কার করে কংক্রিটে মুড়লেও গড়ের অধিকাংশ জায়গা (নতুনপাড়া থেকে দিনেমারডাঙা) এখনও কাঁচাই রয়েছে। সেই সব জায়গাতেই সংস্কারের অভাবে ধাক্কা খাচ্ছে নিকাশি ব্যবস্থা। বর্ষার আগে সংস্কার না-হলে গড়ের জন্য বেশ কিছু এলাকা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন শহরের অনেকে। ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষ গড় সংস্কারের দাবিতে পুরসভার দ্বারস্থও হয়েছেন।
এক সময়ের ফরাসি উপনিবেশ এই শহরের নিকাশি ব্যবস্থার অনেকটাই সেই আমলের। ফরাসিরা চন্দননগরে মূল যে দুর্গ (গড়) গড়েছিল, তার সীমানা বরাবর খাল কাটা হয়েছিল। যাতে বন্যা বা অতিবৃষ্টিতে শহরের জমা জল দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারে। চন্দননগর পুরসভার রেকর্ডে খাল বরারর এলাকা ‘গড়ের ধার’। লোকমুখে সেই খালই এখন ‘গড়’ হিসেবেই পরিচিত। আগে এই গড় অনেক চওড়া থাকলেও এখন সঙ্কীর্ণ। অনেক জায়গাতেই এখন চোখে পড়ে আটকে রয়েছে নোংরা জল।
চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর আশ্বাস, বর্ষার আগেই গড়ের আগাছা পরিষ্কার করে নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির চেষ্টা করা হবে। কিছু কিছু জায়গায় গড়ের উপরে অবৈধ নির্মাণও সরানো হবে। তিনি বলেন, ‘‘গড়ের যে সব জায়গা কাঁচা রয়েছে, সেখানে পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি সমস্যার সমাধান হবে।’’
নতুনপাড়া, দিনেমারডাঙার মতো কিছু এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিন দিন গড়ের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। নোংরা বদ্ধ জল এখন মশা-মাছি-কীটপতঙ্গের আঁতুরঘর। অবৈধ নির্মাণও অনেক ক্ষেত্রে নিকাশির পথে বাধা হচ্ছে। বারাসত এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘বারাসত গেট এলাকা শহরের একটি প্রান্তে। এখানে গড়ের অবস্থা খুবই খারাপ। সব দিকে আগাছা। গড়টা নালায় পরিণত হয়েছে। দ্রুত সংস্কার দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy