বাড়ির কাছেই বছর আটেকের এক বালিকার দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে তেতে ওঠে গুপ্তিপাড়ার বাঁধাগাছি এলাকা। রিঙ্কি দাস নামে ওই বালিকাটিকে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে পুলিশ কুকুর এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের আনার দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসী। শেষে বিশাল বাহিনী নিয়ে জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
তদন্তকারীদের ধারণা, শ্বাসরোধ করে মেয়েটিকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তবে, কারণ নিয়ে পুলিশ অন্ধকারে। ঘটনাস্থলের আশপাশের বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জেলা পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘‘ঠিক কী কারণে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে, তা এখনই পরিষ্কার নয়। তার গলায় একটি দাগ ছিল। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে তবেই এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব। মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করায় তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ মেয়েটির বাবা বাসুদেববাবুর সন্দেহ, খুনের আগে মেয়ের উপরে অত্যাচার চালানো হতে পারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রিঙ্কির বাবা ভ্যান চালান। রবিবার বিকেলে বাসুদেববাবু কাজে যান। তাঁর স্ত্রী বুল্টিদেবী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কাছেই বোনের বাড়িতে যান। বাড়ির সামনে বসে দাদার সঙ্গে মুড়ি খাচ্ছিল রিঙ্কি। তার দাদা মূক-বধির। কিছুক্ষণের মধ্যেই বুল্টিদেবী বাড়ি ফিরে দেখেন, মেয়ে নেই। শুরু হয় খোঁজ। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কাছেই একটি বাড়ির সামনে রিঙ্কিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
মেয়েটির মৃত্যুর খবর চাউর হতেই উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। শুরু হয় বিক্ষোভ। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় রাতেই জেলার ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) উত্তমকুমার সাহা, মগরার সার্কেল ইনস্পেক্টর ইন্দ্রজিৎ পাল এবং পান্ডুয়া থানার পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পুলিশ কর্তাদের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা থামে। যেখান থেকে রিঙ্কির দেহ মেলে, সেই জায়গাটি পুলিশ ঘিরে দেয়। নজরদারির জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সোমবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির দেহ ময়না-তদন্ত করা হয়। বাসুদেববাবু বলেন, ‘‘পুলিশ আশপাশে তদন্ত করে দেখুক। তা হলেই বেরিয়ে আসবে কারা মেয়েকে এ ভাবে মারল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy