Advertisement
E-Paper

হুগলি শিল্পাঞ্চলে বিপর্যস্ত জনজীবন

চলতি বর্ষার মরসুমে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে বলে বারবারই বলছিলেন আবহবিদেরা।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৯ ০০:৫০
জল-যন্ত্রণা: জল পেরিয়ে যাতায়াত শ্রীরামপুরে। ছবি: দীপঙ্কর দে

জল-যন্ত্রণা: জল পেরিয়ে যাতায়াত শ্রীরামপুরে। ছবি: দীপঙ্কর দে

একটানা বৃষ্টিতে হুগলির গঙ্গাপাড়ের ৯টি পুরসভার বহু এলাকা জলবন্দি হয়ে পড়েছে। জলে ডুবু ডুবু রেলের আন্ডারপাসও। ঝুঁকি নিয়ে চলছে রেললাইন পারাপার। হুগলি শিল্পাঞ্চলের জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত।

চলতি বর্ষার মরসুমে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে বলে বারবারই বলছিলেন আবহবিদেরা। প্রশাসনের হিসেবে হুগলিতে সেই ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৪৮ শতাংশ। শুক্রবার থেকে একটানা বৃষ্টিতে সেই ঘাটতি কিছুটা পূরণ হলেও বেহাল হয়ে পড়ল পুর এলাকাগুলি। উত্তরপাড়া, কোন্নগর, শ্রীরামপুর, ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর, চুঁচুড়া-সহ সর্বত্রই ভোগান্তির ছবিটা একই রকম।

উত্তরপাড়ার মাখলা, ভদ্রকালীর পলাশ সরণি-সহ পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকায় জমা জলে মানুষ কার্যত গৃহবন্দি। হিন্দমোটর ও কোন্নগর স্টেশন লাগোয়া নিচু এলাকাতে জল জেছে। কোন্নগর স্টেশনের আন্ডারপাসে শনিবার সকালে হাঁটু জল। তার জেরে বহু মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে রেললাইন পারাপার করেন। কোন্নগরের ক্রাইপার রোডের বিভিন্ন এলাকায় জমা জলে শনিবার সকাল থেকেই মানুষ পথে বের হয়ে পদে পদে নাজেহাল হন।

শ্রীরামপুরের চাতরা, বড়বাগান, কুমিরজোলা, ধর্মতলা, স্টেশন রোডে জল জমায় অনেকেই কাজে বের হতে পারেননি। শ্রীরামপুরের চিকিৎসক প্রদীপকুমার দাসের ক্ষোভ, ‘‘পুরসভা রাস্তা উঁচু করেছে। কিন্তু নিকাশি নালার সার্বিক সংস্কার করেনি। ফলে, শহরের বহু জায়গাতেই নালা উপচে রাস্তায় জল চলে আসছে।’’ পুরসভা অবশ্য নিয়মিত নালা সাফাই হয় বলে দাবি করেছে।

চন্দননগরে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি খলিসানি এলাকার দু’টি ওয়ার্ডে। শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের লালদিঘির পশ্চিমপাড়ে পুরসভার সাফাইকর্মীরা থাকেন। অন্তত দেড় হাজার মানুষের বাস। ওই এলাকায় পরিকল্পনামাফিক কোনও নিকাশি ব্যবস্থাই নেই। তার জেরে অল্প বৃষ্টিতেই সেখানকার বাসিন্দাদের ঘরে জল ঢুকে যায়। শহরের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, ‘‘মানুষগুলো আমাদের শহর পরিষ্কার রাখেন। অথচ, তাঁদের এলাকাতেই কোনও নিকাশি ব্যবস্থা নেই।’’

জেলা সদর চুঁচুড়ার ইঞ্জিনিয়ার বাগান, পিরতলা, সুকান্তনগর, সাহেববাগান এলাকায় সকালে কাজে বের হয়ে জেরবার হন সাধারণ মানুষ। অনেক অভিভাবক শিশুদের স্কুলে পাঠাননি। পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেন, ‘‘শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিকাশি নালার সার্বিক সংস্কারের কাজ হয়েছে। ফলে, জল দাঁড়িয়ে থাকার বিশেষ সমস্যা নেই শহরে।’’ স্থানীয় মানুষজনের অভিজ্ঞতা কিন্তু ভিন্ন।

Srirampur Monsoon
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy