Advertisement
E-Paper

শিক্ষিকাকে অনুমোদন দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা সোনু শর্মা নামে ওই শিক্ষিকা তিনি জানান, ২০০৬ সালে তিনি ক‌লকাতার বড়বাজারে একটি বেসরকারি মারওয়াড়ি বিদ্যালয়ে হিন্দি শিক্ষিকা পদে যোগ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩২
অনুমোদন দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের। —ফাইল চিত্র

অনুমোদন দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের। —ফাইল চিত্র

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (ডিআই) দফতর এক শিক্ষিকার অনুমোদনের আর্জি নাকচ করে দিয়েছে বারবার। আদালতে তাঁর আর্জি মান্যতা পেল। সংশ্লিষ্ট ডিআই-কে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, চার সপ্তাহের মধ্যে ওই শিক্ষিকাকে অনুমোদন দিতে হবে।

হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা সোনু শর্মা নামে ওই শিক্ষিকা তিনি জানান, ২০০৬ সালে তিনি ক‌লকাতার বড়বাজারে একটি বেসরকারি মারওয়াড়ি বিদ্যালয়ে হিন্দি শিক্ষিকা পদে যোগ দেন। সাত বছর পরে বিদ্যালয়ের তরফে তাঁর অনুমোদনের জন্য কাগজ পাঠানো হয় কলকাতার ডিআই দফতরে। কিন্তু অনুমোদন মেলেনি। স্কুল তাঁকে বেতন দেন। মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারের। কিন্তু যোগ্যতা থাকা সত্বেও ‘অনৈতিক’ ভাবে অনুমোদন আটকে রাখায় তিনি ওই ভাতা পাচ্ছেন না।

উপায়ান্তর না দেখে গত বছর সালে ওই শিক্ষিকা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি বিবেচনা করে পদক্ষেপ করতে আদালত ডিআই-কে নির্দেশ দেয়। ডিআই দফতর ওই শিক্ষিকার আর্জি খারিজ করে দেয়। ওই দফতরের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ফের আদালতে যান সোনুদেবী। আদালত ফের বিষয়টি ডিআইয়ের বিবেচনার জন্য পাঠায়। বিবেচনার জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ও ঠিক করে দেওয়া হয়। এ বারেও গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডিআই দফতরে ওই শিক্ষিকার আর্জি নাকচ করে দেওয়া হয়। জানানো হয়, ওই পদে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা তাঁর নেই।

হাল না ছেড়ে সোনুদেবী আবারও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ওই শিক্ষিকার আইনজীবী অঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, শুনানির পরে শুক্রবার বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য রায়ে ডিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন, ওই শিক্ষিকাকে অনুমোদন দিতে হবে। ওই প্রক্রিয়ার জন্য ডিআইকে চার সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সোনুদেবী ওই পদের যোগ্য নন, এটা ঠিক নয়।

সোনুদেবী ব‌লেন, ‘‘আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএ, বিএড। আমি যে ওই পদের যোগ্য এবং অকারণে আমার অনুমোদন আটকে রাখা হয়েছে, মহামান্য হাইকোর্টের রায়েই তা প্রমাণিত। আশা করব, এ বার দ্রুত অনুমোদনের বিষয়টি কার্যকর করা হবে।’’

অঞ্জনবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমার মক্কেল মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখেন। অথচ কোন যুক্তিতে অনুমোদন বাতিল করা হয়! হাইকোর্ট সঠিক রায় দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক এ বার কাজ হবে বলে আশা করছি।’’

High Court DI Teacher Rishra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy