শ্রীরামপুরের একটি মণ্ডপের প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র
বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তার উপর ভিড়ের চাপ। তাই ষষ্ঠীর সন্ধ্যাকেই বেছে নিলেন হুগলির আমজনতা।
আরামবাগ থেকে চুঁচুড়া, বাঁশবেড়িয়া, পাণ্ডুয়া, বলাগড়, শ্রীরামপুর, কোন্নগর, ডানকুনি, তারকেশ্বর সর্বত্রই কম-বেশি একই চিত্র। আকাশের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে পথে নামল মানুষের ঢল। রেল ও সড়ক পথের পাশাপাশি ভাড়া গাড়িতে সওয়ার জনতা এক মণ্ডপ থেকে অন্য মণ্ডপে ছুটে গিয়েছেন সব বয়সের মানুষ। আর তাতেই বাজিমাত আম জনতার মেগা উৎসবের প্রথম রাতে।
আরামবাগের পাঁচের পল্লির পুজো এ বার ২৪ বছরে পা দিল। মন্দিরে আদলে মণ্ডপের বাজেট প্রায় ২ লক্ষ। প্রতিদিনই থাকছে পুজো মণ্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে তৈরি এবার বাসুদেবপুর স্পোর্টস ক্লাবের পুজো।
উত্তরপাড়া সখের বাজার বলাকার পুজো এ বার ষষ্ঠীর রাত থেকেই মানুষের ঢল। ভিড়ের চাপ সামলাতে পুলিশ হিমশিম খায়। ক্লাবের অন্যতম কর্তা সোমেন ঘোষ বলেন, ‘‘এবার আমাদের থিম ভাগ্যচক্র। মানুষের কাছে শুভ হচ্ছে লক্ষ্ণী পেঁচা। তাই সেই আদলেই আমাদের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে অন্তত ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে।’’ বলাকার পাশাপাশি উত্তরপাড়া, নিউ কলোনি, ইয়ং স্টার ক্লাব, রামঘাট, আপনাদের দুর্গাপুজো, উত্তরপাড়া কাঁঠালবাগান আবাহনে এ দিন সন্ধ্যা থেকেই মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।
শ্রীরামপুরের জিটি রোডে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় তিল ধারনের জায়গা ছিল না। রাত যত বেড়েছে ভিড়ের চাপ ততই। শ্রীরামপুর আপনজন সর্বজনীনের থিম এবার আফ্রিকার গ্রাম শিকারীপাড়া।
গাঁধী ময়দানে ৫ ও ৬ এর পল্লিগোষ্ঠী ব্যবসায়ী সমিতির মণ্ডপ তৈরি হয়েছে গুজরাটের মন্দিরের আদলে। সঙ্গে রয়েছে চোখধাঁধানো। বাহির শ্রীরামপুর সর্বজনীনের প্রতিমা নজরকাড়া। চাতরা শীতলাতলার (গাবতলা) প্রতিমার সাজ পাটের। ঠাকুরদাস বাবু লেনে বান্ধব সঙ্ঘের মণ্ডপ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আদলে তৈরি। লাহিড়ীপাড়া সর্বজনীনে প্রচুর তিরকাঠি ব্যবহার করে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। ভ্রাতৃ সঙ্ঘের প্রতিমা অজোন্তা-ইলোরার আদলে গড়ে উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy