ঠাকুরঘরে পুজো করছিলেন মা। আচমকাই সাড়ে চার বছরের ছেলে গিয়ে চিৎকার করে বলল, ‘আগুন!’ ছেলের কথা শুনে ঠাকুরঘর থেকে বেরোনোর আগেই চারিদিক ভরে যায় কালো ধোঁয়ায়। মুহূর্তে দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ল গোটা ঘর-বারান্দায়।
শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বালির সাঁপুইপাড়ার একটি দোতলা বাড়িতে। শেষমেষ স্থানীয় যুবকেরা দোতলায় উঠে আগুনে আটকে পরা মা ও ছেলেকে উদ্ধার করেন। স্থানীয়েরাই প্রথমে বালতি করে জল ঢেলে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে দমকল এসে আগুন পুরোপুরি নেভায়। প্রাথমিক ভাবে দমকল ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, খেলার ছলে দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে ফেলেছিল
সাড়ে চার বছরের ছেলেটি। আর সেটি বিছানায় পরেই এই বিপত্তি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সাঁপুইপাড়া অগ্রদূত ক্লাবের সামনেই ওই দোতলা বাড়িটি। এ দিন বিকেল ৫টা নাগাদ স্থানীয়েরা দেখেন, দোতলা থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ভিতর থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছে এক মহিলা ও শিশুর। স্থানীয় বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত সদস্য বাবু মণ্ডল বলেন, ‘‘চারদিক কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। ধোঁয়ার চোটে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা যাচ্ছিল না। শেষে পাড়ার ও ক্লাবের ছেলেরা মই লাগিয়ে দোতলায় উঠে ওই দু’জনকে উদ্ধার করেন।’’
শিশুটির মা প্রতিমা দাস বলেন, ‘‘এত ধোঁয়া ছিল যে বেরোতে পারছিলাম না। তাই ঠাকুরঘরে বসেই চিৎকার করছিলাম বাঁচানোর জন্য। কী ভাবে যে কী হয়ে গেল, বুঝতে পারছি না। সব পুড়ে গিয়েছে। প্রাণে বেঁচেছি, এটাই রক্ষে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy