Advertisement
E-Paper

আধুনিক সুইমিং পুল করছে হাওড়া পুরসভা

প্রকল্প অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল এবং অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা-সহ একটি দশতলা বাড়ি।

দেবাশিস দাশ

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৭ ০২:২১
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্নে স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকেই সাজসজ্জায় নজর দেওয়া শুরু। এ বার শরীরচর্চা ও সাঁতার প্রশিক্ষণের কথা ভেবে আরও একটি নয়া প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে হাওড়া পুরসভা।

প্রকল্প অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল এবং অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা-সহ একটি দশতলা বাড়ি। থাকবে শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত জিম, টেবিল টেনিস কোর্ট, অতিথিনিবাস ও ব্যাঙ্কোয়েট হল। হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষের মতে, পুর পরিষেবা মানে শুধু পানীয় জলের ব্যবস্থা, জঞ্জাল সাফাই বা রাস্তায় আলো লাগানো নয়। বাসিন্দাদের কথা ভেবে শরীরচর্চা এবং খেলাধুলোর জন্যে উন্নত পরিবেশ তৈরিতে নজর দেওয়াও প্রয়োজন।

পুরসভা সূত্রের খবর, এটি তৈরি হচ্ছে মধ্য হাওড়ার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওলাবিবিতলার বেজপুকুরে। বেদখল হয়ে যাওয়া জায়গা পুনরুদ্ধার করে ১১ হাজার বর্গফুট জুড়ে হচ্ছে সুইমিং পুল। প্রকল্পের আনুমানিক খরচ ২০ কোটি টাকা।

স্থানীয় কাউন্সিলর ও চার নম্বর বরোর চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ দাস জানান, বেজপুকুরের ১৫ হাজার বর্গফুট জায়গা সম্পূর্ণ অব্যবহৃত হয়ে পড়ে ছিল। একটি অব্যবহৃত ওভারহেড জলাধার ও পাম্প হাউস ছিল এখানে। প্রায় পরিত্যক্ত জায়গাটিতে বাইরের লোক ঢুকে নানা অসামাজিক কাজকর্ম করত। বাসিন্দাদের নিরাপত্তাও
বিঘ্নিত হচ্ছিল।

বিশ্বনাথবাবু বলেন, ‘‘মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে এই সুইমিং পুলের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তাঁর উদ্যোগে কাজ শুরু হয়েছে।’’ তিনি জানান, প্রকল্প শেষ হলে এলাকার রাস্তাঘাটও চওড়া হবে। বেজপুকুরকে অক্ষত রেখে চার পাশের সৌন্দর্যায়নের কাজ হবে। প্রকল্প শেষ করার সময়সীমা ধার্য হয়েছে আগামী বছর।

হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, এখানে মোট তিনটি সুইমিং পুল থাকবে। বড়দের জন্য একটি, বাকি দু’টি থাকবে একেবারে শিশু শিক্ষার্থী ও ছোটদের জন্যে। এক পুর কর্তা জানাচ্ছেন, ন্যাশনাল সুইমিং-পুল অ্যাসোসিয়েশনের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনে ও তাঁদের অনুমোদন নিয়েই তৈরি হচ্ছে এগুলি। পুরসভা জানিয়েছে, বড়দের পুলটি তৈরি হচ্ছে প্রায় ১১ হাজার বর্গফুট জুড়ে। শিশু শিক্ষার্থীদের পুলটি ১৫০০ বর্গফুট এবং ছোটদের পুলটি এক হাজার বর্গফুট জুড়ে হবে।

পাশের দশতলা ভবনের প্রতিটি তলের আয়তন হবে ৩ হাজার বর্গফুট। থাকবে প্রশিক্ষক ও সাঁতারুদের বিশ্রামের ব্যবস্থা, ক্যাফেটেরিয়া ও ব্যাঙ্কোয়েট হল। বাড়িটিতে থাকবে পার্কিং-এর ব্যবস্থা। পুরসভার দাবি, সব মিলিয়ে এখান থেকে বছরে ৫০ লক্ষ টাকা আয় হবে।

বিশ্বনাথবাবু জানান, বেদখল হয়ে যাওয়া এই জায়গা থেকে উচ্ছেদ হওয়া ৩৪ জন ব্যবসায়ীকে ওই প্রকল্পের ভিতরে পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে। হাওড়া পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কলকাতার যমজ শহর হাওড়াকে সমৃদ্ধ করতে এমন বেশ কয়েকটি প্রকল্পের প্রয়োজন রয়েছে। পুরসভা সে নিয়ে ভাবছেও।’’

Swimming pool
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy