Advertisement
E-Paper

স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, গ্রেফতার স্বামী

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার মা জামাই ও তার বাবার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯ ০৪:৩১
মৃত মাম্পি চক্রবর্তী।

মৃত মাম্পি চক্রবর্তী।

এক যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে শ্রীরামপুরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ডি’ক্রুজ লেনে, বাপের বাড়ি থেকে মাম্পি চক্রবর্তী (২৬) নামে ওই যুবতীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্বামী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ওরফে রাজাকে।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার মা জামাই ও তার বাবার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে আত্মহত্যায় প্ররোচন‌া এবং বধূ নির্যাতনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ দিনই স্নেহাশিসকে শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে ওই যুবতীর সঙ্গে শ্রীরামপুরেরই বড়বাগানের বাসিন্দা স্নেহাশিসের বিয়ে হয়। দম্পতির ছ’বছরের একটি মেয়ে আছে। মাম্পির বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের বছর দুয়েক পর থেকেই নানা কারণে মাম্পির তাঁর উপরে অত্যাচার শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিছু দিন ধরে অত্যাচারের মাত্রা বেড়েছিল। রাজা তেমন কোনও কাজ করতেন না। স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য জোর করত। মাঝেমধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে এসে থাকত।

মৃতার মা সন্ধ্যা নাগ জানান, দিন দশেক ধরে মাম্পি বাপের বাড়িতে ছিলেন। রাজাও নিয়মিত আসত। রবিবার সন্ধ্যাদেবী বাড়িতে ছিলেন না। রাতে রাজা আসেন। সোমবার সকালে মাম্পির দেহ উদ্ধার হয়। সন্ধ্যাদেবীর অভিযোগ, ‘‘জামাই প্রায় রোজই মেয়ের গায়ে হাত তুলত। সংসার করার জন্য মেয়ে তা সহ্য করত। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ আমাদের বাড়ি থেকে জামাই নিজের বাড়িতে যায়। তার পরে গভীর রাতে বাবাকে নিয়ে এসে মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে। রবিবার ১০টা নাগাদ পড়শিরা রাজাকে আমাদের বাড়িতে ঢুকতে দেখেন। কখন বেরিয়ে গিয়েছে, কেউ দেখেনি। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আমার মেয়েটা চরম পথ বেছে নিল।’’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনার রাতে মাম্পির মেয়ে ঘরেই ছিল। সকা‌লে ঘুম ভেঙে সে মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সবাইকে জানায়। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

Serampore Murder Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy