দাবিমতো পণ দিতে না-পারায় এক তরুণীকে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের অভিযোগ ছিলই। সেই তরুণীর অপমৃত্যুতে তাঁর স্বামী, শাশুড়ি এবং দুই ননদকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
রবিবার বিকেলে রিষড়ার পাঁচলকি বর্মনপাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা সিংহ (২২) নামে ওই তরুণীর মৃতদেহ তাঁর ঘরের মেঝে থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বাপেরবাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার অপর্ণার স্বামী ভোলা এবং তার মা ও দুই বোনকে পুলিশ ধরে। ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় লোকজন। ধৃতদের এ দিনই শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। চার জনকেই ১৪ দিন জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে খুনের প্রমাণ মেলেনি। তরুণীর মৃত্যুর কারণ ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলেই পরিষ্কার হবে। আপাতত মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪/বি (পণজনিত কারণে মৃত্যু) এবং ৩৯৮এ (বধূ নির্যাতন) ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অপর্ণার বাবা লক্ষ্মণবাবু বলেন, ‘‘মেয়ের উপর ওরা অত্যাচার করত। খেতে দিত না। মনে হয় ওরাই মেয়েকে মেরে ফেলেছে। ওদের কঠিন সাজা চাই।’’ ধৃতেরা দাবি করেন, অপর্ণা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।
বছর আড়াই আগে অপর্ণা-ভোলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বাড়তি পণের জন্য অপর্ণার উপরে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার চালানো হতো বলে অভিযোগ। রবিবার দুপুরেও বাড়িতে অশান্তি হয়।