Advertisement
E-Paper

বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতিতে ক্রিকেট লিগ কি হবে? বিপিএল-এর ভবিষ্যৎ কী, জানিয়ে দিলেন বোর্ড কর্তা

বাংলাদেশে ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহ প্রচুর। সে দেশের উত্তাল পরিস্থিতিতে প্রশ্ন, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ কি হবে? বাংলাদেশ বোর্ডের এক কর্তা জানিয়ে দিলেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগের ভবিষ্যৎ কী।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৪৫
Bangladesh Premiere League trophy

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি। —ফাইল চিত্র

আবার নতুন করে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। সে দেশের বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে প্রশ্ন, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) হবে কি না। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের আশ্বস্ত করে সে দেশের বোর্ড জানিয়েছে, এই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগ নির্দিষ্ট সময়ই হবে।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব শাখাওয়াত হোসেন ‘ক্রিকবাজ়’ ওয়েব সাইটকে বলেছেন, সিলেটে সময় মতো, অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়া নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগেই বাতিল করা হয়েছে।

শাখাওয়াত বলেন, ‘‘বিপিএল হওয়া নিয়ে এই মুহূর্তে কোনও সন্দেহ নেই। এটা ২৬ তারিখ থেকে শুরু হবে, যদিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে না। আমরা সংস্থাগুলির সঙ্গে ক্রমাগত আলোচনা করছি। তারা জানিয়েছে কোনও সমস্যা নেই। প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য মাঠ-সহ সবকিছু প্রস্তুত।’’

ঢাকা ক্যাপিটাল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির চিফ এগ্‌জ়িকিউটিভ আতিক ফাহাদও একই রকম আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, প্রতিযোগিতা পিছিয়ে গেলে বা বাতিল হলে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি বড় সমস্যায় পড়বে। কারণ, প্রত্যেকেই প্রায় সব ব্যবস্থাই করে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত আমরা প্রতিযোগিতা স্থগিতের আশঙ্কা করছি না। আমরা আত্মবিশ্বাসী। যদিও ব্যবস্থাপনা-সম্পর্কিত কিছু সমস্যা হয়তো তৈরি হতে পারে।’’

তাঁরা যে নির্দিষ্ট সময়েই অনুশীলন শুরু করে দেবেন, সে কথাও জানান ফাহাদ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ২১ তারিখ থেকে অনুশীলন শুরু করব। আমাদের দিক থেকে সবকিছু প্রস্তুত।’’

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আগেই ঘোষণা করেছিল, এ বারের প্রতিযোগিতা ২৬ ডিসেম্বর সিলেটে শুরু হবে। ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। নিরাপত্তার কারণে বোর্ড উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক তথা জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর সে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে বিক্ষোভ।

গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন হাদি। সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়। টানা ছ’দিন লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার রাতে হাদির মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ্যে আসে।

এর পরেই বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয় তাণ্ডব। ‘সংগঠিত জনরোষে’ তছনছ হয়ে যায় একাধিক সরকারি ভবন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আওয়ামী লীগের কার্যালয় এবং দেশের প্রথম সারির দুই সংবাদপত্র প্রথম আলো ও ডেলি স্টার-এর দফতর।

খুলনায় এক সাংবাদিককে হত্যা এবং ময়মনসিংহে এক যুবককে মারধরের পর পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। হিংসাত্মক কার্যকলাপের নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও।

Bangladesh Cricket Board
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy