Advertisement
১১ জুন ২০২৪

আত্মহত্যায় প্ররোচনা, দুই মহিলার কারাদণ্ড

এক তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে সশ্রম কারাদণ্ড হল দুই মহিলার। শুক্রবার শ্রীরামপুর আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক কল্লোল চট্টোপাধ্যায় শেওড়াফুলির বাসিন্দা সীমা দাস ও গীতা সরকারকে এই সাজা শোনান। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাটি চার বছর আগের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৬ ০১:১৭
Share: Save:

এক তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে সশ্রম কারাদণ্ড হল দুই মহিলার। শুক্রবার শ্রীরামপুর আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক কল্লোল চট্টোপাধ্যায় শেওড়াফুলির বাসিন্দা সীমা দাস ও গীতা সরকারকে এই সাজা শোনান। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাটি চার বছর আগের। মৃত সুলেখা ঘোষ শেওড়াফুলি গড়বাগানে যৌনকর্মী ছিলেন। তিনি সেখানে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কাজের সূত্রে তাঁর সঙ্গে স্থানীয় এক বিবাহিত যুবকের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। অভিযোগ, দু’জনের সম্পর্ক ভাঙতে ওই তরুণীকে মারধর করে ওই যুবকের স্ত্রী সীমা এবং শাশুড়ি গীতা। ওই সময় অভিযোগ ওঠে, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০১২ সালের ৬ জানুয়ারি সকাল ৯টা নাগাদ তারা ফের সুলেখার ঘরে যায়। তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। এখানেই শেষ নয়। যৌনপল্লির পাশেই রেল‌ ‌লাইন। অভিযোগ উঠেছিল, প্রায় নগ্ন করে মারতে মারতে সুলেখাকে তারা বাইরে নিয়ে যায়। রেল লাইনের ধারে পাঁচিল আছে। তারা ওই তরুণীকে ওই পাঁচিলের ভাঙা অংশ দিয়ে রেল লাইনে উঠতে বাধ্য করে। তার পরেই ডাউন ট্রে‌নে আত্মঘাতী হন সুলেখা।

মৃতার ভাই শেওড়াফুলি জিআরপি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন সীমা ও গীতার বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে রে‌ল পুলিশ। অভিযুক্ত দুই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। মাম‌লার সরকারি আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনার দুই প্রত্যক্ষদর্শী (তাঁরাও যৌনকর্মী) আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন। মোট ১২ জন সাক্ষ্য দেন। অভিযুক্ত দু’জন জামিনে ছিল। জয়দীপবাবু বলেন, ‘‘অভিযুক্ত দু’জনের অপরাধ প্রমাণ হয়েছে। শুক্রবার বিচারক কল্লোল চট্টোপাধ্যায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন। এ দিনই আদালত তাদের হেফাজতে নেয়।’’ বিচারক সীমা ও গীতাকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এর পাশাপাশি দু’জনেরই ২০০০ টাকা করে জরিমানা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাবাসের সাজা শোনান বিচারক।

যুবকের মৃত্যু। জাতীয় সড়কে সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। শুক্রবার বিকেলে তমলুক থানার উত্তর নারিকেলদা গ্রামে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ জাতীয় সড়কের ঘটনা। মৃতের নাম নিতাই জানা (৩৪)। তাঁর বাড়ি উত্তর নারিকেলদা গ্রামে। পেশায় ডাব বিক্রেতা ওই যুবক এ দিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ সাইকেলে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সেই সময় দিঘা থেকে কলকাতাগামী একটি সরকারি বাস তাঁকে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন নিতাই। ঘটনাস্থলেই যুবকের মৃত্যু হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Police suicide
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE