বেহাল: খানাখন্দে ভরা আরামবাগের রাস্তা। ছবি: মোহন দাস।
হাতে টাকা নেই। ফলে ভাঙাচোরা রাস্তার সংস্কার হচ্ছে না। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতে হুগলি জেলা জুড়ে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে তৈরি বেহাল রাস্তাগুলি সংস্কারের জন্য পূর্ত দফতরকে হস্তান্তর করে দেওয়া হচ্ছে। যে সব রাস্তা হস্তান্তর করা হচ্ছে, সেগুলির নকশা ও ‘সার্চিং’ রিপোর্ট চেয়েছে পূর্ত দফতর।
এই বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার দুই দফতরের মধ্যে বৈঠকও হয়েছে। হুগলি জেলা পরিষদের নির্বাহী বাস্তুকার উৎপলকুমার হাজরা বলেন, ‘‘তহবিলের অভাবের জন্য প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের রাস্তাগুলি যথাযথ সংস্কার করা যাচ্ছে না। পূর্ত দফতরের তহবিল রয়েছে। তাই বেশ কিছু রাস্তা তাদের হস্তান্তর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমানের সংযোজন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পের রাস্তা ছাড়াও আরও কিছু পুরনো রাস্তা আছে যেগুলি জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি তদারকি করতে পারছে না। সেগুলিও পূর্ত দফতরের হাতে দেওয়া হবে।’’ রাস্তা হস্তান্তর নিয়ে জেলা পূর্ত দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার বিমল বলেন, ‘‘বৈঠক হলেও প্রস্তাব আসেনি।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সাল ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে ১৭৬টি নতুন রাস্তা তৈরির অনুমোদন পেয়েছে জেলা পরিষদ। তার মধ্যে ১৫২টির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি রয়েছে ৮টি। কিন্তু যে ১৫২টি রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, সেগুলি সংস্কারের অভাবে ভেঙেচুরে গিয়েছে। কোথাও কোথাও আবার ডোবার আকার নিয়েছে রাস্তা। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মাঝে মাঝে বাস বন্ধ থাকে। বিক্ষোভ-অবরোধ করেন নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। ক্ষোভ সামাল দিতে জোড়াতালি দিয়ে তখনকার মতো রাস্তা সংস্কার করা হয়। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই ফের পুরনো চেহারায় ফিরে আসে রাস্তাগুলি।