—প্রতীকী ছবি
অ্যাসিড ছুড়ে বৌদিকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠল দেওরের বিরুদ্ধে। রবিবার, সরস্বতী পুজোর দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার টিকিয়াপাড়া এলাকার নুর মহম্মদ মুন্সি লেনে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ রাজাবাজারে বিয়েবাড়ি যাবেন বলে মেয়ে শবনম পরভিনকে নিয়ে বেলিলিয়াস রোডের মুরগি গলির সামনে টোটোর অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন জামিরা বেগম নামে ওই মহিলা। অভিযোগ, হঠাৎ তাঁর দিকে ছুটে এসে একটি বোতল থেকে অ্যাসিড ছুড়ে মারে দেওর রাজু আনসারি। যন্ত্রণায় জামিরা চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় বাসিন্দারা দৌড়ে এসে রাজুকে ধরে ফেলেন। শুরু হয় গণধোলাই। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে আজ, সোমবার আদালতে তোলা হবে।
গুরুতর জখম অবস্থায় জামিরাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই মহিলার ডান গাল থেকে ঘাড়ের অনেকটা অংশ সম্পূর্ণ ঝলসে গিয়েছে। এ দিন বিকেলে হাসপাতালে শুয়ে জামিরা বলেন, ‘‘স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে রাজু ছেলেমেয়েদের নিয়ে থাকত। মাঝে বাইরে বেড়াতে গিয়েছিল। ফিরে এসে প্রচণ্ড মদ্যপান শুরু করে। বাধা দিলে গালিগালাজ করত। ছেলেমেয়েদেরও মারধর করত।’’ ওই গৃহবধূর জামাই সমীরুদ্দিন বলেন, ‘‘সম্প্রতি আগরায় গিয়ে মারপিট করে ডান হাত ভেঙেছিল। আমরা গিয়ে ওকে নিয়ে আসি। এখানে এসেও এমন কাণ্ড করল।’’ স্থানীয় সূত্রের খবর, একটি পরিবহণ সংস্থায় কাজ করত রাজু। কিন্তু হাত ভাঙার পরে সেই কাজ চলে যায় তার। তার পর থেকেই রাজু মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। নেশাও করতে শুরু করে।
পুলিশের অনুমান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সে এমন ঘটিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দাদা আমিরুল আনসারির বাড়িতে এসে জামিরাকে গালগালাজ করতে শুরু করে রাজু। বাড়ির লোকজন তাঁকে বার করে দেন। এর পরেই জামিরা যখন মেয়ের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন, সে সময়ে রাজু এসে তাঁকে অ্যাসিড ছুড়ে মারে বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy