এক-দু’টো নয়। টানা বারো বছর মানসিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন। কিন্তু বাড়িতে তাঁর ঠাঁই হল না। অভিযোগ, প্রিয়জনেরা তাঁকে ঘরে উঠতে দিতে চাইছেন না। এই অবস্থায় পাশে পেলেন পড়শিদের। ঘটনাটি হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে শরৎচন্দ্র মুখোপাধ্যায় লেনের।
ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুপ্রিয় সাঁধুখা বনেদি পরিবারের ছেলে। বাবা বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তাঁর মানসিক কিছু সমস্যা দেখা দেয়। ২০০৪ সালে পরিজনেরা তাঁকে কলকাতার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। বর্তমানে তাঁর বাড়িতে অসুস্থ মা, দুই বোন এবং এক বোনের স্বামী রয়েছেন।
ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর আগেই সুপ্রিয়বাবু সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। তার পর থেকে তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। চলতি মাসের গোড়ায় শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলে সুপ্রিয়বাবুকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত ৭ অক্টোবর রাতে সেখান থেকে তিনি বাড়িতে পালিয়ে আসেন। অভিযোগ, তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাস্তায় রাত কাটাতে দেখে পাড়ার লোকজন খেতে দেন। শুধু তাই নয়, তাঁর অধিকার ফিরিয়ে দিতে বাড়ির সামনে বিক্ষোভও দেখান পড়শিরা। বাড়ির সামনেই একটি টালির ভাঙাচোরা ঘর রয়েছে। সেখানে এক ব্যক্তি ভাড়া থাকেন। পড়শিদের চাপে সুপ্রিয়বাবুকে সেখানে থাকতে দেওয়া হয়। সেখানেই মেঝেতে চাদর পেতে থাকছেন তিনি। সুপ্রিয়বাবু জানান, হাসপাতাল থেকে হেঁটে হাওড়া স্টেশন এবং সেখান থেকে ট্রেনে বৈদ্যবাটিতে চলে আসেন। কিন্তু কেউ ঘরে ঘউটতে দিচ্ছেন না।