চুল কেটে দেওয়ার নাম করে বাড়ি নিয়ে গিয়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ক্ষৌরকারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পান্ডুয়ায়। বুধবার চুঁচুড়া আদালতের বিচারক জাহাঙ্গির কবীর নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে অনাদি সরকার নামে ওই ক্ষৌরকারের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, হুগলির পান্ডুয়ার বেরেলা গ্রামের অনাদি সরকার এলাকার ছোট ছেলেমেয়েদের চুল কাটতেন। ঘটনার দিন এলাকারই বছর তেরোর ওই নাবালিকার চুল কেটে দেবে বলে অনাদি তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘরের দরজা বন্ধ করে তার মুখে রুমাল চাপা দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে অনাদি। ঘটনা কাউকে না জানাতে হুমকিও দেয়। ওই নাবালিকা বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়ির লোকজন তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে সমস্ত ঘটনা জানায়। ইতিমধ্যে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অনাদি।
নাবালিকার পরিবারের তরফে অনাদির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এতদিন ধরে মামলা চলাকালীন জামিনে মুক্ত ছিল সে। বিচারপর্ব শেষে মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনাদিকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সরকারি পক্ষের আইনজীবী জয়ন্ত সাহা বলেন, ‘‘বুধবার আসামীকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক জাহাঙ্গির কবিরের এজলাসে তোলা হলে তিনি তাকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে আরও দুবছর কারাদণ্ড দেন।’’
বিচারকের রায় শুনে নিগৃহীতার বাবা বলেন, ‘‘আমার মেয়ের যে সর্বনাশ করতে গিয়েছিল তার সঠিক সাজা হয়েছে। মেয়েদের উপর এ ধরনের অত্যাচার যারা চালায় তাদের যেন এমনই কঠিন সাজা হয়।’’