প্রতীকী ছবি
অক্টোবর মাস শেষ হতে চলল। খাতায়-কলমে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু জ্বর-ডেঙ্গির ভ্রুকুটি পিছু ছাড়ছে না শ্রীরামপুর এবং পাশের শহর রিষড়ায়। চিকিৎসকের চেম্বার থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে জমছে রোগীর ভিড়। অনেককে হাসপাতালে ভর্তিও হতে হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার শ্রীরামপুর পুরসভায় বৈঠক হয়। সেখানে কাউন্সিলর, স্বাস্থ্যকর্মী এবং জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকও উপস্থিত ছিলেন। শ্রীরামপুর পুরসভার সাফাই বিভাগের চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল (সিআইসি) গৌরমোহন দে বলেন, ‘‘মশার লার্ভা মারতে যে তেল ব্যবহার করা হচ্ছিল, তার বদলে পাউডার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই পাউডার জলে গুলে ছড়ানো হবে। সাফাইয়ে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। জ্বরে আক্রান্তদের বাড়িতে নজরদারি বাড়ানো হবে।’’
মঙ্গলবার ভোরে জ্বরে আক্রান্ত রিষড়ার এক যুবকের মৃত্যু হয় শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে। তাঁর পরিবারের লোকজনের দাবি, ডেঙ্গিতে তিনি মারা যান। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের অবশ্য দাবি, এনসেফ্যালাইটিসে তাঁর মৃত্যু হয়। ডেঙ্গি থাকলেও তা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছয়নি।
রিষড়া শহরের অনেকেই এখন জ্বরে আক্রান্ত। দুর্গাপুজোর সময় থেকেই শ্রীরামপুরেরও বিভিন্ন জায়গায় জ্বর ছড়ায়। অনেকের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মেলে। শিবতলা লেন, বঙ্গলক্ষ্মী মিল, তেলকল গলি, জীতেন্দ্রনাথ লাহিড়ি রোড, সতীশচন্দ্র ঘোষ লেন প্রভৃতি জায়গায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মেলে।
এখন নিম্নচাপের বৃষ্টি চিন্তা বাড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক এবং চিকিৎসকদের। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের শ্রীরামপুর শাখার সভাপতি, চিকিৎসক প্রদীপকুমার দাস বলেন, ‘‘ডেঙ্গির উপসর্গ দেখলে রক্ত পরীক্ষা করতে বলা হচ্ছে। বাড়াবাড়ি হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের গোচরেও তা আনা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy