তৃণমূলের মহকুমা সম্মেলন হচ্ছে রিষড়ায়। অথচ, সেই সম্মেলনে ‘ঠাই’ নেই এলাকার তৃণমূল বিধায়কেরই!
আজ, রবিবার শ্রীরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রিষড়ার গুমোডাঙায় মোল্লাবেড় ফুটবল মাঠে ওই সম্মেলন হবে। প্রচারের পোস্টার থেকে কার্ড— কোনও কিছুতেই নাম নেই স্থানীয় বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের। এতেই ক্ষুব্ধ সুদীপ্তবাবুর ঘনিষ্ঠ নেতারা। তাঁদেরই এখ জনের কথায়, ‘‘সুদীপ্তবাবু অসুস্থ। হয়তো আসতে পারবেন না। কিন্তু স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে তাঁর সম্মান প্রাপ্য ছিল। তাঁর কেন্দ্রে কর্মসূচি, অথচ, তাঁকেই ব্রাত্য রাখা অসৌজন্য।’’
পোস্টারে সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে নাম রয়েছে শিক্ষামন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। বক্তা হিসেবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তের নাম রয়েছে। কার্ডে সাংসদ মুকুল রায়ের নামও ছাপা হয়েছে। সম্মেলনের আহ্বায়ক উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তিনি অসৌজন্যের অভিযোগ মানেননি। তাঁর দাবি, ‘‘ডাক্তারবাবু (সুদীপ্তবাবু) আমার ৩০ বছরের বন্ধু। উনি অসুস্থ। সাধারণ কর্মীরা তা জানেন না। কার্ড-পোস্টারে নাম থাকার পরে উনি না-এলে সেটা কৌতূহলের বিষয় হবে। সেই কারণেই বৈঠকে আলোচনা করেই তাঁর নাম রাখা হয়নি।’’
সুদীপ্তবাবুর অসুস্থতার কারণে সম্প্রতি শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব তাঁর পরিবর্তে পাশের কেন্দ্রের বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে দেওয়া হয়। সুদীপ্ত অনুগামীদের আরও অভিযোগ, ওই দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই প্রবীরবাবু উপেক্ষা করছেন সুদীপ্তবাবুকে। তাঁর মনোনীত সদস্যদের সরিয়ে নিজের পছন্দের নেতা শ্রীরামপুরের কাউন্সিলর সন্তোষ সিংহকে তাঁর মনোনীত সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন প্রবীরবাবু। স্থানীয় রাজনীতিতে ওই কাউন্সিলর সুদীপ্তবাবুর বিরোধী শিবিরের বলে পরিচিত। উপেক্ষার অভিযোগও প্রবীরবাবু মানেননি। তাঁর দাবি, ‘‘ শ্রীরামপুরের যে কাউন্সিলর ওয়ালশ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা পড়ে থাকেন, আমি তাঁকেই নিয়োগ করেছি। নিয়মের কারণেই কিছু নেতা সমিতি থেকে বাদ পড়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy