প্রতীকী ছবি।
হুগলির রিষড়া পুর-এলাকার একাংশে জ্বর ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, দিন সাতেক ধরে বিশেষত বাগখাল এলাকা থেকে জ্বরের খবর মিলছে। কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতেও হয়েছে। পুরসভার দাবি, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সচেষ্ট।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগখাল এলাকায় একটি বন্ধ চটকলের শ্রমিক আবাসন চত্বর এবং তার আশপাশে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসক দেখানোর পাশাপাশি কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক পরিবারের তিন জন ভর্তি হয়েছেন।
জ্বরের খবর এসেছে শহরের নবীনপল্লি থেকেও। বিষ্ণু সমাদ্দার নামে এক প্রৌঢ়ের বৃহস্পতিবার থেকে জ্বর হয়। স্থানীয় চিকিৎসক দেখানোর পরে শনিবার শ্রীরামপুরের বেল্টিং বাজারের কাছে একটি নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। আত্মীয়েরা জানান, তাঁর রক্তে প্লেটলেট কমে রবিবার ৫৮ হাজারে দাঁড়িয়েছে। নার্সিংহোমের তরফে উন্নততর জায়গায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলা হয়। সন্ধ্যায় বিষ্ণুবাবুকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্র জানান, বাগখালে বন্ধ কারখানার শ্রমিক আবাসনে জ্বরের খবর দু’দিন আগে তাঁদের গোচরে আসে। শনি এবং রবি— দু’দিনই সেখানে পুরসভার তরফে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। মশার লার্ভা মারার তেল, ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে। পুরপ্রধানের বক্তব্য, ‘‘সাফাই অভিযান সর্বত্রই চলছেই। ওখানে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘ওখানে খাটাল আছে। পুরসভার সাফাই বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার গিয়েছিলেন। গোবর অপসারণ এবং পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, জ্বরে আক্রান্তদের রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হলে শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পুরসভাই সেই ব্যবস্থা করবে।
জ্বর-ডেঙ্গি মোকাবিলায় বিভিন্ন পুরসভাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে রাজ্য সরকার। কয়েক মাস আগে হুগলিতে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পুরপ্রধানদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy