Advertisement
১৮ মে ২০২৪
তালিকায় ঠাঁই পেয়েও বাধা জমি

পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে গাফিলতির নালিশ

উপভোক্তা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু মেলেনি জমি। আর সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হুগলির আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির ৩২টি পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৪৮
Share: Save:

উপভোক্তা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু মেলেনি জমি। আর সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হুগলির আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির ৩২টি পরিবার।

এই প্রকল্পে শুধু ঘর নয়, যাঁদের জমি নেই তাঁদের জমির ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশিকা ছিল। কিন্তু তারপরেও পঞ্চায়েতগুলি এ ব্যাপারে উদ্যোগী না হওয়ায় ক্ষুব্ধ জেলা প্রশাসন। দারিদ্রসীমার নীচে থাকা ওই মানুষগুলির আশ্রয়ের বন্দোবস্ত নিয়ে সঙ্কট কাটাতে অবিলম্বে উপযুক্ত জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হুগলির অতিরিক্ত জেলা শাসক (জেলা পরিষদ) শ্রাবণী ধর বলেন, “আরামবাগ ছাড়াও জেলায় আরও কিছু উপভোক্তা পরিবারের জমি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। জেলার সব ব্লককে সেই তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। পঞ্চায়েতগুলিকে জমি খোঁজার ব্যাপারে বিশেষ সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পে গৃহহীনদের জমি দেওয়ার ব্যবস্থা হবে।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব পরিবারের ঘর তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমি নেই সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে ২০০৮ সালের জুন মাস নাগাদ এক নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে পঞ্চায়েতকে বলা হয়েছিল প্রতিটি বাস্তুহীন পরিবারকে চিহ্নিত করতে হবে। পরিবারগুলির জন্য মোট কত জমি লাগবে তার পরিমাণ বুঝে পঞ্চায়েত উপযুক্ত জমি চিহ্নিত করবে। ভূমিহীনদের রাজ্য সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের ‘চাষ ও বসবাস ভূমিদান প্রকল্প’ বা ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পে আড়াই কাঠা পর্যন্ত জমি কিনে দেওয়া হবে। অতিরিক্ত জেলা শাসক (ভূমি ও ভূমি রাজস্ব) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “২০১১ সালে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের সমীক্ষা অনুযায়ী যাঁরা জমি পাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়েছিলেন, তাঁদের জমি দেওয়া হয়েছে। এখন পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি জমি চিহ্নিত করে আমাদের পাঠালে তার পাট্টা দিয়ে দেওয়া হবে।’’

আরামবাগের ১৫টি পঞ্চায়েতে উপভোক্তার সংখ্যা ১৪৭৬। এই পরিবারগুলির মধ্যে তিরোল পঞ্চায়েতে ১৪, হরিণখোলা ১ পঞ্চায়েতে ১০, হরিণখোলা ২ পঞ্চায়েতে ৩, গৌরহাটি ১-এ ২ জন এবং আরান্ডি ১ ও মায়াপুর ২ পঞ্চায়েতের ১ জন করে মোট ৩২ জনের জমির অভাবে প্রকল্প রূপায়ণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিডিও মহম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, “এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রধানদের বিশেষভাবে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে।’’ জমি খোঁজা নিয়ে নিজেদের গাফিলতি স্বীকার করেছেন প্রধানেরা। তিরোল পঞ্চায়েতের প্রধান কাজী নিজামুদ্দিন, হরিণখোলা ১-এর প্রধান গীতা ঘোড়ুই, হরিণখোলা ২-এর প্রধান মিঠু ঘোষ বলেন, ‘‘জমির খোঁজ করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Negligence complaint Panchayat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE