Advertisement
E-Paper

ক্ষমতা বদলেও সেতুর শিকে ছেঁড়েনি কুলিয়ায়

পাকা সেতু তৈরি হবে বলে শিলান্যাস হয়েছিল ২০০৬ সালে। ইতিমধ্যে মুণ্ডেশ্বরী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। পার হয়েছে দু’দুটো পঞ্চায়েত, লোকসভা থেকে বিধানসভা নির্বাচন। বদলে গিয়েছে রাজনৈতিক ক্ষমতা। কিন্তু বদলায়নি প্রতিশ্রুতি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:২০
এই সেতুর বদলেই উঠেছে পাকা সেতুর দাবি।—নিজস্ব চিত্র।

এই সেতুর বদলেই উঠেছে পাকা সেতুর দাবি।—নিজস্ব চিত্র।

পাকা সেতু তৈরি হবে বলে শিলান্যাস হয়েছিল ২০০৬ সালে। ইতিমধ্যে মুণ্ডেশ্বরী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। পার হয়েছে দু’দুটো পঞ্চায়েত, লোকসভা থেকে বিধানসভা নির্বাচন। বদলে গিয়েছে রাজনৈতিক ক্ষমতা। কিন্তু বদলায়নি প্রতিশ্রুতি। আজও হাওড়ার জয়পুরের ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান এবং ভাটোরা পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের শুনতে হয়, পাকা সেতু তাঁরা পাবেন। এতদিন কেন হয়নি সেই প্রশ্ন উঠলেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক দলগুলির একে অন্যকে দোষারোপের পালা।

২০১১ সালে দীর্ঘদিনের বামশাসন শেষ হয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের উপরে জোর দেন। একদিকে রূপনারায়ণ ও অন্যদিকে মুণ্ডেশ্বরী নদী বেষ্টিত হাওড়ার দ্বীপ এলাকা ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান এবং ভাটোরা পঞ্চায়েতের মানুষ ভেবেছিলেন এ বার তাঁদের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে। কিন্তু সে আশাও জলাঞ্জলি দিয়েছেন তাঁরা। এতদিনেও পাকা সেতুর জন্য একটা ইটও গাঁথা হয়নি। এই দুই পঞ্চায়েতের মানুষের কাছে আজও শহরের সঙ্গে যোগাযোগে নৌকাই ভরসা (বছর দুই হল একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করছেন মানুষ)।

২০০৬ সালে কুলিয়াঘাটে মুন্ডেশ্বরীর উপরে পাকা সেতুর শিলান্যাস করেন তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত। সেতু তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জেলা পরিষদকে। গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন বিভাগ (আরআইডিএফ)-এর কাছে টাকা চেয়ে জেলা পরিষদ প্রস্তাব পাঠায়। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, সেতু নির্মাণের খরচ দেয়নি আরআইডিএফ। ফের জেলা পরিষদের তরফে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করে পাঠানো হয়েছে আরআইডিএফ-এর কাছে। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ডিপিআর-এর ভিত্তিতে প্রায় ২৫ কোটি টাকা আরআইডিএফ-এর কাছে চাওয়া হয়েছে। এই টাকা এলে সেতুর কাজ শুরু হবে।’’

আমতার কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, ‘‘কুলিয়াঘাটে সেতুর কাজ যাতে শীঘ্র শুরু হয় সে জন্য আমি নিজে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে বলেছি। ওই সেতু তৈরি হলে দ্বীপ এলাকার বাসিন্দাদের খুব উপকার হবে।’’

দক্ষিণ ভাটোরার বাসিন্দা তরুণ ঘোষ, কুলিয়ার বাসিন্দা দুখীরাম রুইদাস অবশ্য এতে আশা দেখছেন না। তরুণবাবুর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট আসতে এখনও এক বছর। তার আগে সেতুর ব্যাপারে কেউ সাড়াশব্দ করবেন বলে মনে হয় না।’’

concrete bridge Kulia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy