Advertisement
E-Paper

রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ নয়: লকেট

এ দিন দুপুরে ব্যান্ডেলের সাহেবপাড়ায় রেল আবাসনে যান লকেট। সঙ্গে ছিলেন দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় এবং যুবনেতা সুরেশ সাউ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৫৯
উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া এলাকায় সাংসদ লকেট। ছবি: তাপস ঘোষ

উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া এলাকায় সাংসদ লকেট। ছবি: তাপস ঘোষ

রেলের জমি থেকে জবরদখল উচ্ছেদের নোটিস ঘিরে সরগরম ব্যান্ডেল। চাপানউতোর চলছে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যাবে না, এই দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। বিজেপির পাল্টা দাবি, রেলের জমিতে বসবাসকারী লোকজনকে যাতে উঠে যেতে না হয়, সে ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে তারা দরবার করছে। স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সোমবার এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করলেন, তাঁরা যেন নিশ্চিন্তে থাকেন। কোনও পক্ষের দাবি নিয়েই পূর্বরেলের আধিকারিকেরা মন্তব্য করতে চাননি।

এ দিন দুপুরে ব্যান্ডেলের সাহেবপাড়ায় রেল আবাসনে যান লকেট। সঙ্গে ছিলেন দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় এবং যুবনেতা সুরেশ সাউ। রেলের জমিতে বসবাসকারীদের লকেট জানান, নোটিসের কথা জানার পরে তিনি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি জেনেছেন। রেলমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। ফলে, তাঁরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। এলাকাবাসীর কাছে লকেটের দাবি, তৃণমূল এ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।

রেল গরিব মানুষকে উচ্ছেদ করতে চাইছে, এই অভিযোগকে সামনে রেখে শুক্রবার লাঠি নিয়ে এলাকায় মিছিল করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। রেলের লোকজন কাগজ দেখতে এলে ‘মুঙ্গেরের লাঠি’ নিয়ে তাড়া করে এলাকাছাড়া করারও নিদান দেন তিনি। প্রয়োজনের ‘রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের’ কথাও বলেন। সেই প্রসঙ্গে এ দিন লকেট বলেন, ‘‘বিধায়ক জানেন, আগামী দিনে জিততে পারবেন না। তাই মানুষের হাতে লাঠি তুলে দিয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছেন। ভুল বুঝিয়ে মানুষকে বিপথে চালিত করতে চাইছেন।’’

বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, লকেটের মুখ থেকে রেলমন্ত্রীর বক্তব্য জানার পরে সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত। ফলে, তৃণমূলের আন্দোলনের অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। বিধায়ক অসিতবাবুর অবশ্য দাবি, রেল কর্তৃপক্ষ নোটিস সাঁটার পরেই তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে প্রতিরোধে নামেন। তখন লকেটকে দেখা যায়নি। পরে লকেটই ভোটের বাধ্যবাধকতায় রাজনীতি শুরু করেছেন। লকেট ‘নাটক’ করছেন

বলে কটাক্ষ করে অসিতের দাবি, তৃণমূলের লোকেরাই সাধারণ মানুষের পাশে আছে।

এ দিন দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে লকেট বলেন, ‘‘তোলাবাজির শেষ কথা হয়ে গিয়েছে পিসি-ভাইপোর সিন্ডিকেট কোম্পানি। এই সিন্ডিকেট কোম্পানিকে বাংলা থেকে তাড়ানোই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। জেলায় জেলায় ওঁরা গুন্ডা বাহিনী তৈরি করে রেখেছেন। আমাদের ছেলেদের নামে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। খুন করা হচ্ছে। আগামিদিনে ওই দলে পিসি-ভাইপো ছাড়া কেউ থাকবেন না।’’

‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়ে বিজেপি সাংসদের কটাক্ষ, ‘‘ওরা রাস্তায় নেমে চাল, ডাল, ত্রিপল চুরি করেছে। দুয়ারে দুয়ারে সরকার গেলে যেন সবাই দরজা বন্ধ করে রাখেন। কেননা, ঘরের জিনিস ওরা চুরি করে নিতে পারে।’’

লকেটের এই কটাক্ষকে গুরুত্ব দিতে চাননি জেলা তৃণণূল সভাপতি দিলীপ যাদব। তিনি বলেন, ‘‘উল্টোপাল্টা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস ও ভরসা করেন। তাঁর ৬২টি প্রকল্প মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছেন। ওদের সরকার কর্পোরেটদের দুয়ারে, আমাদের সরকার মানুষের দুয়ারে।’’

Locket Chatterjee BJP Indian Railways
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy