Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

সংস্কার নেই, মজে যাচ্ছে নিকাশি খাল

একদিকে জবরদখল। অন্যদিকে বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়া। দু’য়ে মিলে কার্যত মজে যেতে বসেছে চেঙ্গাইল খাল। এক সময় এই খালটি ৩০-৪০ ফুট চওড়া ছিল। জবরদখলের কারণে বর্তমানে খালটি মাত্র ১০-১৫ ফুটে এসে ঠেকেছে। কোনও কোনও অংশে খালটি আরও সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে।

কচুরিপানায় ভর্তি চেঙ্গাইলের খাল। — নিজস্ব চিত্র

কচুরিপানায় ভর্তি চেঙ্গাইলের খাল। — নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
চেঙ্গাইল শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫৮
Share: Save:

একদিকে জবরদখল। অন্যদিকে বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়া। দু’য়ে মিলে কার্যত মজে যেতে বসেছে চেঙ্গাইল খাল।

এক সময় এই খালটি ৩০-৪০ ফুট চওড়া ছিল। জবরদখলের কারণে বর্তমানে খালটি মাত্র ১০-১৫ ফুটে এসে ঠেকেছে। কোনও কোনও অংশে খালটি আরও সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে। ফলে এলাকার জল নিকাশি ঠিকমতো হচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকা জলে ডুবে যায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

উলুবেড়িয়া পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খালটি চেঙ্গাইলের দৈবখালি থেকে শুরু হয়ে চেঙ্গাইল কমিউনিটি হলের পাশ থেকে গিয়ে জামবেড়িয়ায় গৌরীগঙ্গা খালে মিশেছে। এটি এলাকার অন্যতম বড় নিকাশি খাল। চেঙ্গাইলের ৫-৬টি ওয়ার্ড নির্ভরশীল। এ ছাড়াও সেচের কছা ভেবে খালটির মুখে স্লুইস গেট বসিয়েছিল প্রশাসন। সেটিরও বেহাল অবস্থা। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বেশ কয়েকটি জায়গা অনেকটা সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে।

এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, চেঙ্গাইল কমিউনিটি হলের কাছেই খালটি প্রায় মজে যেতে বসেছে। প্রায় গোটা খালটি ঝোপঝাড়ে, কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে এবং বহু জায়গায় লোকেরা প্রায় খাল দখল করে ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন। স্থানীয়দের দাবি, এখন এই খালটি দিয়ে জলও আর ঠিকমতো যায় না। ফলে চেঙ্গাইলের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ সামান্য বৃষ্টিতেই জল বন্দি হয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদি আলম মিদ্যা, রাজু সিংহরা বলেন, ‘‘বর্ষায় এতটাই জল জমে যায় যে, মানুষের ঘরে পর্যন্ত জল ঢুকে যায়। ছেলেমেয়েদের স্কুল যেতেও খুব সমস্যা হয়।’’ ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা বাবলু পণ্ডিত বলেন, ‘‘আমরা বহু বার পুরসভাকে বলেছি খাল সংস্কারের জন্য। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, পুরসভা বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে না পারায় এই সমস্যা আরও বেড়েছে। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মৈনুদ্দিন মিদ্যা বলেন, ‘‘খালটি সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে। পুরসভাকে বলেছি। আবারও বলব।’’

উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সরকার বলেন, ‘‘খালটি সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রয়োজনে সেচ দফতরের সঙ্গেও কথা বলব। খালটি দ্রুত যাতে সংস্কার করা যায় সেটা দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Canal Reform
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE