তিন দিন কেটে গেল। কিন্তু শনিবার বিকেল পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিলের ছাত্র সুশীল মান্ডির। তাঁর বাড়ি হুগলির ধনেখালির রঞ্জিপুর গ্রামে। দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাঁর পরিবারের। কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, ওই ছাত্রের খোঁজ চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাঁওতাল পরিবারের ছেলেটি যাদবপুর থেকেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন বছর কয়েক আগে জামশেদপুরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানায় কাজ পান। সেখানে বছর দেড়েক কাজ করেন। তার পরে কাজ ছেড়ে ফিরে এসে ভাষাতত্ত্ব নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। বর্তমানে ওই বিষয়েই এমফিল করছেন। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি সুশীল। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে কোনও জিনিসই কার্যত সঙ্গে নেননি। শুক্রবার তাঁর পরিবারের লোকেরা লালবাজারে গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, খাতায়-কলমে সুশীল ছাত্রাবাসের বাসিন্দা ছিলেন না। তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে থাকছিলেন বলে পরিবারের লোকেরা জানান।
সুশীলের বাবা শিবু মান্ডি বলেন, ‘‘কিছুই বুঝতে পারছি না। পুলিশের উপর ভরসা করা ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে!’’ যাদবপুরেই এমএ পড়ছেন সুশীলের ভাইঝি আশা মান্ডি। তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি একটি মেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কাকার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিল। তাতে কাকা খুব ভেঙে পড়ে। কাকার এক বান্ধবীর মুখে সে কথা শুনি। কাকার নিখোঁজ হওয়ার পিছনে সেটাও কারণ হতে পারে।’’