Advertisement
E-Paper

বৈদ্যবাটির আশ্রমে খুনের ঘটনায় ধৃত আরও এক

হুগলির বৈদ্যবাটিতে আশ্রম-মালিককে খুনের অভিযোগে আরও এক জন‌কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সুমন দাস ওরফে সিমেন। সোমবার রাতে বর্ধমানের কেতুগ্রামে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৬ ০৩:১২

হুগলির বৈদ্যবাটিতে আশ্রম-মালিককে খুনের অভিযোগে আরও এক জন‌কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সুমন দাস ওরফে সিমেন। সোমবার রাতে বর্ধমানের কেতুগ্রামে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় দু’জন ধরা পড়ল। এর আগে বিভাস মল্লিক নামে স্থানীয় এক যুবক গ্রেফতার হয়। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, জেরায় বিভাস ও সিমেন অপরাধ কবুল করেছে।

গত ১১ মার্চ বৈদ্যবাটির এন সি ব্যানার্জি রোডে ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ সেবা ধর্মাশ্রম’ নামে ওই আশ্রম থেকে বিভূতিভূষণ হাজরার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর হাত-পা-মুখ বাঁধা ছিল। স্ত্রী-ছেলে হিন্দমোটরের বাড়িতে থাকলেও তিনি গত ১৬ বছর ধরে এই আশ্রমেই থাকতেন। নিহতের ছেলে অরুণ হাজরা শ্রীরামপুর থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আশপাশের লোকজন ছাড়াও বাচ্চারাও আশ্রমে আসত। বিভূতিবাবু বাচ্চাদের ভালবাসতেন। তাদের খাওয়াতেন, পড়াতেন। পড়শিদের পাশাপাশি এলাকার কয়েকটি বাচ্চার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। তাদের মধ্যেই একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে শনিবার রাতে বিভাস মল্লিক নামে এক রংমিস্ত্রীকে হরিপাল থেকে গ্রেফতার করা হয়। আদালত তাকে পুলিশ হাজতে পাঠায়। বিভাসকে জেরা করে সিমেনের সন্ধান পায় পুলিশ। সিমেন ঢালাই মিস্ত্রীর কাজ করে। বিভাসের মতো সেও বৈদ্যবাটিতে ভাড়া থাকে। বাড়ি বর্ধমানের কেতুগ্রামের কোজলশা গ্রামে। শ্বশুরবাড়িও কাছেই। ঘটনার দিন থেকেই সিমেনের খোঁজ মিলছিল না। সোমবার রাতে পুলিশ শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে ধরে আনে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বৈদ্যবাটি স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বর্ধমানে চলে যায় সিমেন। বিভাসের মতো সেও অপরাধ কবুল করে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে কয়েক জন মিলে আশ্রমে চড়াও হয়েছিল। রামকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষে ওই দিন আশ্রমে বিশেষ পুজোআচ্চা হয়। তাদের ধারণা ছিল, বিভূতিবাবুর ঘরে অনেক টাকা আছে। তাঁকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলা হয়। কিন্তু তন্নতন্ন করে খুঁজেও ঘর থেকে ২০ টাকার বেশি তারা পায়নি। তার পরে সকলে গা-ঢাকা দেয়।

যে বালকের চোখের সামনে ওই ঘটনা ঘটে সে গত সোমবার শ্রীরামপুর আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয়। ধৃত সিমেনকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তার পুলিশ হাজতের নির্দেশ দেন। আরও কয়েক জনের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Baidyabati murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy