দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম হলেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে হুগলির কানাগড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পঙ্কজ চক্রবর্তী ওরফে বুড়োকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হুগলির পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, ‘‘অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি স্টেশন লাগোয়া লোহারপাড়ার বাসিন্দা বছর তিরিশের পঙ্কজ স্থানীয় কানাগড় এলাকার একটি আমবাগান দেখাশুনার কাজ করেন। রোজ সকালে জলখাবার খেয়ে বাগানে চলে যেতেন এবং দুপুরে বাড়িতে আসতেন খেতে। এদিন তিনি বাড়িতে আসেননি। বাগানে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করছিলেন। খাওয়া-দাওয়ার শেষে বন্ধুরা চলে যাওয়ার পরেই কয়েকজন দুষ্কৃতী বাগানে ঢোকে। পঙ্কজের সঙ্গে দু’একটা কথা বলার পরেই দুষ্কৃতীদের একজন তাঁর কপাল লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রক্তাত্ব অবস্থায় পঙ্কজ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলির আওয়াজ পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা বাগানের উল্টোদিক দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। রক্তাক্ত পঙ্কজকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারকে।
আমবাগান দেখাশুনার পাশাপাশি পঙ্কজবাবু জমি কেনা বেচার কাজও করতেন। তবে কী কারনে তাঁকে গুলি করা হল তা বুঝতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। গত ৮ই মার্চ চুঁচুড়ার আইমাডাঙা এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছিল একদল দুষ্কৃতী। তিনিও আমবাগান দেখাশুনার এবং জমি কেনাবেচার কাজ করতেন। তদন্তকারী পুলিশ অফসারদের অনুমান জমি কেনাবেচা সংক্রান্ত কোনও আক্রোশের জেরে তাঁকে খুনের চেষ্টা হয়। এ ক্ষেত্রেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
পঙ্কজবাবুর স্ত্রী অর্পিতা চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘‘ও রোজ দুপুরে বাড়িতে খেতে আসে। এদিন না আসায় ভেবেছিলাম এখন আমের সময় তাই হয়তো আসতে পারে নি। কিন্তু পরে খবর পেলাম ওকে গুলি করা হয়েছে। ওর সঙ্গে কোনওদিন কারও ঝগড়া হতে দেখিনি। সবাই ওকে ভালবাসত। কেন এমন ঘটল জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy