Advertisement
১৬ মে ২০২৪

নার্সিংহোমে রোগীমৃত্যু, বিক্ষোভ হরিপালে

কিছুদিন আগেই ডানকুনির যুবক সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুতে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়েছিল রাজ্য। বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয় রাজ্য।

চলছে বিক্ষোভ। দীপঙ্কর দে

চলছে বিক্ষোভ। দীপঙ্কর দে

নিজস্ব সংবাদদাতা
হরিপাল শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৪
Share: Save:

কিছুদিন আগেই ডানকুনির যুবক সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুতে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়েছিল রাজ্য। বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয় রাজ্য। অথচ, তার পরেও বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

এ বার হরিপালের শিয়াখালার একটি নার্সিংহোমের গাফিলতিতে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। রবিবার শঙ্কর ঘোষ (৫৫) নামে ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যুর পরে নার্সিংহোমটি বন্ধের দাবিতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান তাঁর পরিবারের লোকেরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কোনও অভিযোগ মানেননি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তা হলে নার্সিংহোমটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাঙ্গিপাড়ার সীতাপুরের বাসিন্দা শঙ্করবাবুকে এ দিনই সকালে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তিনি মারা যান। তার পরেই ওই অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় নার্সিংহোমে। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে মৃতের ছেলে রাজকুমার জানিয়েছেন, ভর্তির পর থেকে কোনও চিকিৎসক তাঁর বাবাকে দেখেননি। বিকেলে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য নার্সিংহোমের তরফে বলা হয়। কিন্তু নিয়ে যেতে গিয়ে তিনি দেখেন, বাবা মারা গিয়েছেন।

রাজকুমার বলেন, ‘‘ভর্তির সময়ে ১৩০০ টাকা দিই। নার্সিংহোম থেকে বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) রয়েছেন। সেখানে কাজ শেষ হলে বাবার চিকিৎসা শুরু হবে। কিন্তু তা হয়নি। ওঁরা যখন বাবাকে কলকাতায় নিয়ে যেতে বলে, তখন দেখি বাবা মারা গিয়েছেন।’’

অভিযোগ অস্বীকার করে নার্সিংহোমটির অন্যতম অংশীদার গোপাল হাম্বিরের দাবি, ‘‘চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল না। রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় প্রথম থেকেই তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বলা হয়। প্রথমে ওঁরা নিয়ে যেতে চাননি। বিকেলে ওঁরা যখন নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করছেন, তখনই শঙ্করবাবু মারা যান।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nursing home Negligence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE