Advertisement
E-Paper

পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ, ভাঙচুর মদের দোকানে 

দলে দলে কয়েকশো মহিলা-পুরুষ এ দিন প্রথমে দোকান খোলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারপর শুরু হয় ভাঙচুর। দোকানের আসবাবপত্র, ফ্রিজ, মদের বোতল বাইরে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯ ০৩:৪৩
প্রতিবাদ: ভাঙচুর ভদ্রেশ্বর দক্ষিণপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

প্রতিবাদ: ভাঙচুর ভদ্রেশ্বর দক্ষিণপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

কয়েক মাস আগে এলাকায় দেশি মদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছিল আবগারি দফতর। জাল মদ বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন দোকান-মালিক। সম্প্রতি জামিন পান। শুক্রবার ভদ্রেশ্বরের দক্ষিণপাড়া এলাকায় ফের ওই দোকান খোলা হতেই পরিবেশ নষ্টের অভিযোগে ভাঙচুর চালাল জনতা।

দলে দলে কয়েকশো মহিলা-পুরুষ এ দিন প্রথমে দোকান খোলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারপর শুরু হয় ভাঙচুর। দোকানের আসবাবপত্র, ফ্রিজ, মদের বোতল বাইরে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, দোকান-মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দোকান-মালিক, পাশের রায়পাড়ার বাসিন্দা মনোরঞ্জন সাহা এ দিন ভাঙচুর শুরু হতেই এলাকা ছাড়েন। পরে তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে দোকানটা প্রায় ভেঙে পড়ছিল। সারানোর জন্য খুলেছিলাম। তখনই একদল লোক হামলা চালিয়ে সব নষ্ট করে দিল।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোকান-ঘরটির মালিক দক্ষিপাড়ারই রুবি সাঁতরা। বছরখানেক আগে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ভাড়া নেন মনোরঞ্জন। প্রথম থেকেই সন্ধ্যার পরে দোকান খোলা হত। গভীর রাত পর্যন্ত চলত মদের ব্যবসা। মদ্যপদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী আন্দোলনে নামেন। কয়েক মাস আগে জাল মদ বিক্রির অভিযোগে আবগারি দফতরের পক্ষ থেকে মামলা রুজু করে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। গ্রেফতার হন মনোরঞ্জন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েকশো গজের মধ্যে দু’টি স্কুল রয়েছে। এই ঘনবসতি এলাকায় মদের ব্যবসার জন্য পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। বাইরের লোকজনের ভিড় বাড়ছিল। মদ্যপদের উৎপাতে ছাত্রছাত্রী বা মহিলারা সন্ধ্যার পর বাইরে বেরোতে পারতেন না। এ দিন আবার ব্যবসা শুরু করার তোড়জোড় করতেই দোকান খোলেন মনোরঞ্জন।

এ দিন ভাঙচুরের সময়ে উপস্থিত ছিলেন দোকান-মালিক রুবিদেবী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ভুসি-খোলের ব্যবসার কথা বলে দোকান ভাড়া নিয়েছিল মনোরঞ্জন। মদের দোকান করায় আপত্তি জানিয়েছিলাম। আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আমি অসহায়। পরে এলাকার লোকজনই প্রতিবাদ জানান।’’ অরবিন্দ সাঁতরা নামে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘দেখি, দেশি মদের দোকান হয়েছে। তার জেরে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। দুষ্কৃতীদের আনাগোনাও বাড়ছিল। দোকানটি বন্ধ হওয়ার পরে কিছুদিন স্বস্তিতে ছিলাম। ওই দোকান চালু করার চেষ্টা মানা হবে না।’’

Protest Vandalism Liquor Store
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy