Advertisement
E-Paper

তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে শুনলাম, টাকা শেষ

সকাল ৮টা থেকে ব্যাঙ্কের সামনে লাইন দিয়েছিলেন, উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা নিমাইচন্দ্র সাঁতরা। নরেন্দ্র সিনেমার মোড়ের কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে কাজ সেরে যখন বেরোলেন, মুখে তৃপ্তির হাসি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫৯

সকাল ৮টা থেকে ব্যাঙ্কের সামনে লাইন দিয়েছিলেন, উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা নিমাইচন্দ্র সাঁতরা। নরেন্দ্র সিনেমার মোড়ের কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে কাজ সেরে যখন বেরোলেন, মুখে তৃপ্তির হাসি। আটটি পাঁচশো টাকার নোট নিয়ে তিনি ভিতরে ঢুকেছিলেন। বিনিময়ে চল্লিশটি একশো টাকার নোট পেয়েছেন ব্যাঙ্ক থেকে। বললেন, ‘‘সকালে যখন লাইন দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম টাকা পাব কি না! শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা সার্থক।’’

উলুবেড়িয়ার এই ব্যাঙ্কে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকেই লম্বা লাইন পড়েছিল। গোলমালের আশঙ্কায় হাজির ছিল পুলিশ। বাগনান, আমতা, শ্যামপুর, ডোমজুড়, সব জায়গাতেই দেখা গিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে দীর্ঘ লাইন। সব জায়গাতেই ছিল পুলিশ। শম্বুক গতিতে এগিয়েছে লাইন। কিন্তু গ্রাহকদের মধ্যে তেমন অসন্তোষ দেখা যায়নি। বাগনানে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় একশো টাকার নোট কম পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত হাওড়া থেকে নোট এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। তবে এর জন্য কোনও অশান্তি হয়নি।

হুগলিতেও ছিল একই ছবি। সকাল থেকে রোদে পুড়ে মানুষ লাইন দিয়েছেন। এখানেও দেরির জন্য কোনও গোলমাল হয়নি। পান্ডুয়ার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘গোলমালের আশঙ্কা একটা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমস্যা হয়নি। ভালভাবেই উতরেছে প্রথম দিন।’’ গুপ্তিপাড়া রায়পাড়ার বাসিন্দা অজয় দাস তিন ঘণ্টা লাইন দিয়েও টাকা তুলতে পারেননি। তবে এর জন্য তাঁর ক্ষোভ নেই। বললেন, ‘‘বিকেল ৪টে নাগাদ ব্যাঙ্ক থেকে বলা হল টাকা ফুরিয়ে গিয়েছে। একটা নতুন ব্যবস্থায় এটুকু সমস্যা তো হতেই পারে। কাল ফের আসব।’’

Bank notes
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy