হাসপাতালে লক্ষ্মী। নিজস্ব চিত্র।
সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে তাঁকে কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় ওই প্রতিবন্ধী তরুণীকে মারধরের অভিযোগ উঠল মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘঠনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় গোঘাট ২ ব্লকের কামারপুকুর পঞ্চায়েতের দশঘরা গ্রামে। ‘প্রহৃত’ লক্ষ্মী দাস হাসপাতালে ভর্তি। জন্ম থেকে তাঁর এক চোখ নষ্ট। অভিযোগ, ‘‘পাঁচটা বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে বৃদ্ধা মা আর নিজের পেট চালাই। আমি ইন্দিরা আবাস কিংবা গীতাঞ্জলি প্রকল্পে বাড়ি পাচ্ছি না। মুরগি ছানাও মেলেনি। এ সব কেন পাব না প্রশ্ন করায় গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য রানি সাঁতরা রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে আমাকে মারেন।’’ রানি সাঁতরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘মারধরের প্রশ্ন নেই। তবে আমার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হওয়ার কঞ্চির গোছার উপরে পড়ে গিয়েছিল।’’ লক্ষ্ণী দাসের আরও অভিযোগ, ‘‘বাম আমলে ইন্দিরা আবাসন না পেলেও অন্য সাহায্যগুলি পেয়েছি। তৃণমূল আসার পরে ভেবেছিলাম ঘর পাব এ বার। কিন্তু এ বার কিছুই দিচ্ছে না। মুরগি ছানা, চাল, পোষাক কিছুই পাইনি। যে সব সরকারি সাহায্য আসছে, সেখান থেকে কিছু ভাগ চাইছেন সদস্য। প্রতিবাদ করায় উপর হামলা হল।’’ রানি সাঁতরার মেয়ে তথা পঞ্চায়েত সমিতির শিশু ও নারী উন্নয়ন স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমী বলেন, ‘‘ইন্দিরা আবাসনের স্থায়ী তালিকায় লক্ষ্মী দাসের নাম নেই। নিজস্ব জায়গা না থাকায় গীতাঞ্জলি আবাসন দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। একটি পুকুরপাড় দখল করে বসবাস করেন। আর পোশাক তিনি অপছন্দ করে নেননি, চাল খারাপ দাবি করে নিতে অস্বীকার করেন।’’ গোঘাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন মণ্ডল বলেন, ‘‘বঞ্চিত করার অভিযোগ ঠিক নয়। ইন্দিরা আবাসন প্রকল্প ছাড়া লক্ষ্মী দাসকে সরকারি অন্য আবাসন প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা যায় কি না সেটা দেখা হচ্ছে।’’ মারধর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দলীয়ভাবে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy