জিটি রোডে ‘নোএন্ট্রি’ চললেও মাল বোঝাই লরি বালির দিকে ঢুকতে দিতে হবে। অভিযোগ এমনই দাবি করেছিলেন স্থানীয় এক যুবক। কিন্তু তাতে আপত্তি জানাতেই কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে ওই যুবক ধাক্কাধাক্কি করেন বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ট্রাফিক কনস্টেবল।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ বালি নিমতলা মোড়ে ডিউটি করছিলেন সুজয় সর্দার নামের ওই কনস্টেবল। রাত সাড়ে ৯টা জিটি রোডে ‘নো এন্ট্রি’ উঠে যায়, তারপরেই লরি নিমতলার দিক থেকে বালি থানার দিকে ঢুকতে পারে। তাই বালি খালের দিক থেকে আসা লরিগুলি নিমতলা মোড়ের আগে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। অভিযোগ, প্রবীর বিশ্বাস নামে স্থানীয় ওই যুবক ট্রাফিক পুলিশকে একটি মাল বোঝাই লরি ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু পুলিশ রাজি না হওয়ায় ক্ষেপে যান ওই যুবক। ট্রাফিক পুলিশ ঘুষ নিয়ে লরি ছাড়ছে এই দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন প্রবীরবাবু। তাঁর সঙ্গেই যোগ দেন এলাকারই বাসিন্দা প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়। এরপরে তাঁরা কনস্টেবল সুজয়বাবুর বুকে ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই দু’জনই তৃণমূল কর্মী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশের দাবি, যে লরি চালকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তিনিও পরে সেই কথা স্বীকার করেননি। ওই দিন রাতেই প্রদ্যুৎ ও প্রবীরের নামে বালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কনস্টেবল সুজয়বাবু। এ দিকে ঘটনা অস্বীকার করে প্রদ্যুতবাবু বলেন, ‘‘কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ঘুষ নিয়ে লরি ছাড়ছে দেখে প্রবীর প্রতিবাদ করেছিল। তা নিয়েই তর্ক শুরু হয়েছিল। এর বেশি কিছু নয়।’’ হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy