Advertisement
E-Paper

শিশু-মৃত্যুতে চার প্রোমোটারের বিরুদ্ধে মামলা

শিবপুরের যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই অতীন্দ্রমোহন মুখার্জি লেনে বৃহস্পতিবার সকালে যান মধ্য হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় এবং হাওড়া পুরসভার কয়েক জন প্রাক্তন কাউন্সিলর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৯ ০১:০৮
— প্রতীকী ছবি।

— প্রতীকী ছবি।

হাওড়ার শিবপুরের নির্মীয়মাণ বহুতলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ওই বহুতলটির চার প্রোমোটারের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করল। বৃহস্পতিবার হাওড়া পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) স্বাতী ভাঙালিয়া বলেন, ‘‘মৃত শিশু রাজু দাসের বাবা শম্ভু দাস বুধবার রাতে শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার পরেই চার প্রোমোটার মহম্মদ নৌশাদ, রাজ, মাসুম খান এবং সানির বিরুদ্ধে ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানো) এবং ৩২৬ (মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত) ধারায় মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে পাড়ার মধ্যেই ওই নির্মীয়মাণ পাঁচতলা বাড়িটির একতলায় খেলতে গিয়ে লোহার রডে জড়ানো বিদ্যুৎবাহী তারে পা লাগায় মারা যায় রাজু দাস নামে আট বছরের একটি শিশু। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় পূজা সাউ নামে সাত বছরের আর একটি শিশু। তার সঙ্গেই খেলতে গিয়েছিল রাজু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পূজা হাসপাতালে ভর্তি।

শিবপুরের যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই অতীন্দ্রমোহন মুখার্জি লেনে বৃহস্পতিবার সকালে যান মধ্য হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় এবং হাওড়া পুরসভার কয়েক জন প্রাক্তন কাউন্সিলর। রাজুর বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পরিবেশ থমথমে। মাত্র চার ফুট চওড়া গলিতে গজিয়ে উঠেছে একাধিক বহুতল। বুধবারের ঘটনাটি ঘটেছিল যে বহুতলে, এ দিনও সেখানে লোহার রডের পাশে তার পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পাশেই দেওয়ালে লাগানো সিইএসসি-র খোলা মিটার বক্স। সেখান থেকে ঝুলছে তার। পুলিশ অবশ্য টেপ দিয়ে ঘিরে দিয়েছে গোটা এলাকা।

স্থানীয় এক বাসিন্দা কাশী প্রসাদ জানান, কয়েক দিন আগে ওই বহুতলের নীচে একটি কুকুরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। কী ভাবে কুকুরটি মারা গেল, কেউ তখন বুঝতে পারেননি। বুধবারের ঘটনার পরে তাঁরা একপ্রকার নিশ্চিত, সে-ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মারা গিয়েছে। কাশী বলেন, ‘‘ইদের ছুটিতে মিস্ত্রিরা বাড়ি যাওয়ায় গত কয়েক সপ্তাহ কাজ বন্ধ আছে। সম্ভবত ওই মিস্ত্রিরা রোজ কাজের শেষে রডে লাগানো

তারে বিদ্যুৎ সংযোগ করে যেতেন। কিন্তু বাড়ি যাওয়ার আগে মেন সুইচ বন্ধ করেননি। সে কারণে এমন

মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।’’

বাসিন্দারা জানান, তাঁরাই মেন সুইচ থেকে তারটি কেটে দেন। না হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এক বাসিন্দা অজয় কুমার বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে বাড়িটি তৈরি হচ্ছে। শিশুটির মৃত্যুর জন্য বাড়ির মালিক ও প্রোমোটারদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’’

Electrocute Child death Police case Promoters
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy