Advertisement
E-Paper

শো-কেসে মিলল মহিলার মৃতদেহ

মৃতের নাম সুপর্ণা হাজরা (৩০)। বাড়ি সাঁকরাইলের সুলাটিতে। গত ২০ অগস্ট থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশের অনুমান, তাঁকে বাইরে কোথাও খুন করে দেহটি গাড়িতে করে এনে মুম্বই রোডের পাশে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। দেহটি কয়েকদিনের পুরনো। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৩৩
রহস্য: সেই শো-কেস। ছবি: সুব্রত জানা

রহস্য: সেই শো-কেস। ছবি: সুব্রত জানা

মুম্বই রোডের ধারে পরিত্যক্ত শো-কেস থেকে বেরিয়ে রয়েছে একটি হাত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। রবিবার বীরশিবপুরের ঘটনা।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুপর্ণা হাজরা (৩০)। বাড়ি সাঁকরাইলের সুলাটিতে। গত ২০ অগস্ট থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশের অনুমান, তাঁকে বাইরে কোথাও খুন করে দেহটি গাড়িতে করে এনে মুম্বই রোডের পাশে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। দেহটি কয়েকদিনের পুরনো। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বই রোডের কোলাঘাটমুখী লেনের ধারে একটি ঝোপের মধ্যে কাঠের তৈরি শো-কেসটি পড়েছিল। সেটি বাইরে থেকে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা বাক্সটি দেখতে পান। তাঁরা জানান, বাক্সটি থেকে দুর্গন্ধ ছাড়ছিল। বাক্সটির কাছে এসে তাঁরা দেখেন, শো-কেসটির ফাঁক থেকে এক মহিলার হাত বেরিয়ে আছে। তারপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার দেহটি মুড়ে ছোট্ট শোকেসের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। গায়ে ছিল শাড়ি। বয়স আনুমানিক ৩০। ওই মহিলাকে বাইরে কোথাও খুন করা হয়েছে। তারপরে রাতে দেহটি গাড়িতে করে এনে এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। গত ২০ অগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরে তাঁর বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে সাঁকরাইল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। সেই সূত্রেই পুলিশ মহিলাটির পরিচয় জানতে পারে। তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। কীভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছিল সেটি দেহের ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই স্পষ্ট হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত এক বছরে মুম্বই রো়ডের পাশে বীরশিবপুরের ওই এলাকা থেকে এই নিয়ে মোট তিনটি দেহ উদ্ধার করা হল। সকলকেই বাইরে থেকে খুন করে এখানে দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছিল। আগের দু’টি খুনের ক্ষেত্রে পুলিশ কোনও কিনারা করতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে কী হয় সেটাই দেখার।

মাসখানেক আগে জগৎবল্লভপুরের মাজুক্ষেত্রে রানিহাটি-আমতা রোডের ধার থেকেও এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই মহিলারও বয়স ছিল ত্রিশের আশপাশে। সেক্ষেত্রেও প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছিল, তাঁকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু সেই ঘটনারও কোনও কিনারাই হয়নি।

হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, খুনের ঘটনাগুলি হাওড়া জেলার হয়নি। হাওড়া জেলা ও আশপাশেক জেলার বাইরের থানাগুলিকে দেহগুলির বিষয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও থানা থেকেই এখনও তেমন কোনও সাড়া আসেনি।

Crime Murder Dead Body Uluberia উলুবেড়িয়া
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy