জিটি রোড থেকে রেললাইনের ধারে তার সুপুরি কারখানা পর্যন্ত বিস্তৃত গলি সিসিক্যামেরায় মোড়া ছিল এই সে দিনও। কারখানায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে চেয়ারে বসে পা দোলাতে দোলাতে সিসিটিভি-তে চোখ রাখত সে। নতুন কেউ এলাকায় ঢুকলে তার সশস্ত্র শাগরেদরা আগাপাশতলা তল্লাশি চালিয়ে তবে প্রবেশের অনুমতি দিত।
চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরের সেই ‘ডন’, বছর পঁয়ত্রিশের টোটন বিশ্বাস ধরা পড়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। তবু স্বস্তিতে নেই স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ, সকলেই তাকে ডরায়। তার বহু শাগরেদ এখনও পুলিশের নাগালের বাইরে। ফলে, তাদের কাছে থাকা অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার হয়নি। টোটনের সেই শাগরেদরা যতদিন না ধরা পড়ছে, ততদিন নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না স্থানীয়রা।
রবীন্দ্রনগরের এক মহিলার কথায়, ‘‘টোটন স্থানীয় লোকেদের উপরে অত্যাচার করত না। কিন্তু ওর জন্য দুষ্কৃতীদের আনাগোনা লেগে থাকে। ওদের হাতে হাতে বন্দুক-পিস্তল। পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিক।’’ স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনগরে টোটনের সাম্রাজ্য চলে। দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল। পুলিশ সবাইকে ধরুক। সব অস্ত্র উদ্ধার করুক। টোটন যাতে সহজে ছাড়া না পায়, তা নিশ্চিত করুক। ছাড়া পেলেই কিন্তু ফের দাদাগিরি শুরু হবে।’’