আস্তানা: এই বাড়িতেই ভাড়া থাকত জাল নোট কাণ্ডে গ্রেফতার সৈয়দ রেহান। ছবি: সুব্রত জানা
ওয়াটগঞ্জ থেকে প্রচুর জাল নোট উদ্ধারের পরে সতর্ক হল হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ। জেলা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। ওই চক্রে আর কেউ জড়িত কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছেন পুলিশকর্তারা।
বৃহস্পতিবার ওয়াটগঞ্জ থেকে ৫৬ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করে সিআইডি। সবই ছিল দু’হাজারের নোটে। এই ঘটনায় যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়, তাদের মধ্যে চার জনই হাওড়ার বাসিন্দা। তারা হল— বাউড়িয়ার সৈয়দ রেহান, উলুবেড়িয়ার একলাস আহমেদ, জয়পুরের থলিয়ার মানোয়ার মোল্লা এবং ডোমজুড়ের আবুল কালাম। শুক্রবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশ হাওড়ায় এসে ওই চার জনের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়। তার পরেই সতর্ক হয় হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশও।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। যে হেতু ধৃতেরা হাওড়ারই বাসিন্দা, তাই আমরাও চুপচাপ বসে থাকতে পারি না। আমাদের নিজস্ব ইনটেলিজেন্স বিভাগ বিস্তারিত খোঁজখবর করছে।’’
ধৃতদের মধ্যে রেহানের আদি বাড়ি বাউড়িয়ারই খেজুরিতে। বছর পাঁচেক আগে সে রামেশ্বরনগরে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করে। সঙ্গে থাকতেন তার মা-দিদিমা। রেহানের মা কলকাতার একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করেন। সপ্তাহে একদিন বাড়ি আসেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ন’মাস আগেও রেহান একটি গাড়ি নির্মাতা সংস্থায় কাজ করত। চাকরি যাওয়ার পর সে বাড়িতে দরজির কাজ করত। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এলাকায় মাঝেমধ্যে রেহান ‘দাদাগিরি’ করলেও তার আচার-আচরণে বিত্তবান হয়ে ওঠার কোনও লক্ষণ কখনও দেখা যায়নি। জাল নোট চক্রে সে জড়িত ছিল শুনে এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই অবাকই হয়ে গিয়েছেন। ধৃত বাকি তিন জনের ক্ষেত্রেও এলাকার বাসিন্দাদের একই বক্তব্য, অভিযুক্তদের আচরণে কখনও সন্দেহজনক কিছু তাঁদের নজরে পড়েনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy