দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় লাগাম দিতে ওই এক্সপ্রেসওয়েতে এবং সেটির সংযোগকারী রাস্তাগুলির ধারে পড়ে থাকা ইমারতি দ্রব্য এবং গুমটি সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শুধু ইমারতি দ্রব্য নয়, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং তার সার্ভিস রোডগুলির ধারে কোনও গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না। ইতিমধ্যেই হরিপাল, সিঙ্গুর, ডানকুনি-সহ বিভিন্ন জায়গায় এই বিষয়ে মাইক প্রচারও করা হচ্ছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে সংযোগকারী রাস্তাগুলির দিকেও আলাদা করে নজর দেওয়া হচ্ছে।
কয়েক মাস আগে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল লোকসঙ্গীতশিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের। গত বছরের অক্টোবরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি। দিন কয়েক আগেই রাজগীর থেকে বাড়ি ফেরার পথে এই রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি গাড়ি। মারা যান দু’জন। দিন কয়েক আগেই এই রাস্তায় গাড়ির ধাক্কায় কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়।
একের পর এক দুর্ঘটনার পরে এই জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। গাড়ি চালকদের একাংশ অভিযোগ করেন, ওই রাস্তার পাশে ইমারতি দ্রব্যে ফেলে রাখা এবং সার দিয়ে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটছে।
জাতীয় সড়কের এক কর্তা জানান, তাঁরা মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করার কাজ করছেন। তার পরেও কাজ না হলে প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।