আজ ইদের খুশি ছড়িয়ে পড়বে কারাপ্রাচীরের অন্তরালেও।
সোমবার রমজান মাসের শেষে স্থানীয় ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে ইদের নমাজ পাঠ করবেন উলুবেড়িয়া উপ সংশোধনাগারের বিচারাধীন বন্দিরা।
নমাজের শেষে কোলাকুলি। এর পর খাওয়া-দাওয়া। সবার শেষে নাচে গানে মেতে উঠবেন তাঁরা। ইদের এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সামিল হবেন অন্য ধর্মের বিচারাধীন বন্দিরাও।
ইদে কিন্তু কারা দফতরের তরফে বাড়তি বাজেট নেই বললেই চলে। তাহলে সিমুই, পরোটা, ভাত, মাংসের আয়োজন হবে কীভাবে?
উপ-সংশোধনাগার সূত্রে জানা যায়, ‘মাছের তেলে মাছ ভাজা’-র মত বন্দিদের বরাদ্দ থেকেই এই টাকা জোগাড় হয়। উপ সংশোধনাগার সূত্রে খবর, প্রতি সপ্তাহে এক দিন বন্দিদের জন্য ৭৫ গ্রাম করে মাংস বরাদ্দ থাকে। ইদের আগের সপ্তাহে বন্দিরা সেই বরাদ্দ নেন না। ফলে ইদের দিনে তা হয়ে যায় দ্বিগুণ। সিমুই বন্দিদের বাড়ি থেকেই আসে। অন্য খরচ বাঁচিয়ে কিছু সিমুই কেনার ব্যবস্থা হয়ে করেন কর্তৃপক্ষও। অন্য দিনের থেকে খাওয়া-দাওয়া কিছুটা বিলাসবহুল হয়ে যায় ইদের দিনে। স্নান সেরে ইদের নমাজ পড়ার পরে খাওয়া-দাওয়ায় মাতবেন বন্দিরা।
এ বছর ইদের খুশিতে অন্য মাত্রা যোগ করতে চাইছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। তারই অঙ্গ হিসাবে খাওয়ার সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ইদের গানের সংকলন জোগাড় করে রেখেছেন তাঁরা। টেপ রেকর্ডারে গানের তালেই চলবে নাচ। বাছাই করা বন্দিদের নিয়ে তৈরি হয়েছে নাচের দল। সংশোধনাগারের ভিতরে খোলা জায়গাটি ফুল আর রঙিন কাগজ দিয়ে সাজানো হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে মহলা চলছে।
সংশোধনাগার সূত্রে খবর, নাচের তালিম দিচ্ছেন বছর পঁচিশের এক যুবক। পেশায় সেলসম্যান ছিলেন। বধূ খুনের অভিযোগে ধরা পড়েছেন। নাচে পারদর্শিতার জন্য ওই যুবক জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর গুণটিকেই কাজে লাগাচ্ছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এই হাজতবাস তাঁদের কাছে লজ্জাজনক। তা থেকে স্বস্তি দেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy