মঙ্গলবার হুগলি জেলায় সব জায়গায় প্রয়োজন মতো ডাল পৌঁছয়নি বলে জেলার রেশন ডিলার সংগঠনের অভিযোগ। এ নিয়ে অশান্তির আশঙ্কায় কয়েক জায়গায় এ দিন রেশন বিলিও বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ামক অসীমকুমার নন্দী বলেন, ‘‘ডাল সব জায়গায় পৌঁছেছে। প্রয়োজনের তুলনায় ডাল কম পাওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখে চটজলদি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোথাও রেশন দেওয়া বন্ধ রাখা যাবে না।’’
পুরশুড়া ব্লকের রেশন ডিলাররা এ দিন খাদ্যসামগ্রী বিলি করেননি। পুরশুড়া ডিলার সংগঠনের সম্পাদক শক্তি দে বলেন, ‘‘আমাদের ব্লকে মোট ২৭৭ কুইন্ট্যাল ডাল লাগবে। পাওয়া গিয়েছে ২৫৮ কুইন্ট্যালের কিছু বেশি। এটা দফতরের হিসাবের ভুল, না কম সরবরাহ হয়েছে তা জানতে চেয়েছি। পাছে উপভোক্তারা অশান্তি করেন, তাই আজ খাদ্যসামগ্রী বিলির ঝুঁকি নিইনি।’’
ডাল কম এলেও জেলার অন্যত্র এ দিন ডাল বিলি করা হয়েছে বলে রেশন ডিলারদের জেলা সংগঠনের দাবি। সংগঠনের সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, ‘‘জেলায় মোট ১২০০ রেশন ডিলার মাথা পিছু গড়ে ৪০-৪৫ কেজি করে ডাল কম পেয়েছেন। বিষয়টি দফতরে জানিয়েছি। যাঁরা খাদ্যসামগ্রী আজ দেননি, তাঁরাও কাল থেকে দেবেন।’’
খাদ্য নিয়ামক অসীমবাবু বলেন, ‘‘পুরশুড়ার ডিলাররা কেন রেশন দেননি, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ডাল ছাড়াও অন্নপূর্ণা, অন্ত্যোদয় যোজনার উপভোক্তাদের জন্য বরাদ্দ চিনি সোমবার কিছু জায়গায় পৌঁছয়নি। মঙ্গলবার তা সর্বত্র পৌঁছে গিয়েছে। উপভোক্তাদের সামগ্রী কম পাওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ উঠলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব জায়গায় খাদ্য দফতরের তদারকি চলছে।
করোনার জন্য বিশেষভাবে বরাদ্দ রেশনে এই প্রথম ডাল সংযোজিত হল। খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, মে, জুন এবং জুলাই— এই তিন মাসের জন্য পরিবার পিছু বিনামূল্যে ১ কিলো ডাল দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট উপভোক্তাদের। মে মাসের জন্য দেওয়া হবে মুসুর ডাল। পরের দু'মাস মুগ ডাল।
খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা জানান, খাদ্যসামগ্রী সুষ্ঠুভাবে বন্টন করতে পরিদর্শন বা নজরদারিতে জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন অন্তত দু’বার ব্লক এবং পুরসভা স্তরের পরিদর্শকদের সরেজমিনে পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও ডিলার এবং উপভোক্তাদের সচেতন থাকার আবেদন করা হচ্ছে।